Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নেছারাবাদে করোনায় হাসপাতালে কমছে রোগী

মোবাইলে নিচ্ছেন চিকিৎসা

নেছারাবাদ(পিরোজপুর)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০২০, ১:১৬ পিএম

নেছারাবাদ উপজেলায় করোনাভাইরাস আতঙ্কের কারণে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলার হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও অভ্যন্তরীণ বিভাগে রোগীর সংখ্যা বহুগুণ কমেছে।

আতঙ্কে হাসপাতালে না এসে অনেকেই মোবাইলে ফোন দিয়ে নিচ্ছেন সাধারণ চিকিৎসা।
সর্দি, কাশি, জ্বরসহ সাধারণ রোগ নিয়ে হাসপাতালে আসছেনা কোন রোগী। করোনাভাইরাসের আতঙ্কের কারণে রোগীর সংখ্যা কমেছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরা।

২৬ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে এ উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মুদিমনোহারি,ঔষধ,কাচামাল,মাছ বাজার বাদে সব দোকানপাট বন্ধ ঘোষণার পর অভ্যন্তরীন যানবাহন বন্ধের উপর নিষেধ আজ্ঞা আসে।

সে থেকেই এ হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা আরো কমেছে বলে জানা গেছে।

উপজেলা প্রধান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গড়ে প্রতি মাসে উপজেলার এ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে দেড় থেকে দুই হাজার রোগী চিকিৎসা নিতেন। ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার পর্যন্ত রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। এছাড়া ইনডোরে ৫শত থেকে ৬শত রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতেন।
হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তার আসাদুজ্জামান জানান, হাসপাতালে এখন রোগী আসেনা বললেই চলে। আগে প্রতিদিন এখানে আউটডোরে আনুমানিক তিনশ রোগী আসত। আর ইনডোরে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী ভর্তি নিয়ে চিকিৎসা নিতেন। অতচ আজকে হাসপাতালে তিনজন মারামারির রোগী নিয়ে মোট পাচজন ভর্তি আছেন।

হাসপাতালের জরুরী বিভাগ সূত্রে জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে শুক্রবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত এখান থেকে মোট ২৮ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। যার ভিতরে মাত্র পাচ থেকে সাতজন রোগী ভর্তি নিয়েছেন। অথচ এসময়ে সাধারন সর্দি,জ্বর,কাশি সহ সাধারন রোগ নিয়ে
এখানে রোগীদের থাকতো উপচে পড়া ভীড়।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রধান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প:প: কর্মকর্তা ডা: ফিরোজ কিবরিয়া বলেন, আগের তুলনায় হাসপাতালের ইনডোর, আউটডোর ও জরুরি বিভাগে তিন ভাগের আড়াই রোগী কমেছে। সরকারি প্রচারণা ও করোনার প্রতি আতঙ্কের কারণে মানুষ নিজ থেকেই হাসপাতালে আসা কমিয়েছেন। তবে মোবাইলে জরুরী বিভাগের নাম্বারে অনেক রোগী ফোন দিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া, যারা আসছেন তাদেরকে প্রয়োজনানুযায়ী চিকিৎসা ও ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ