বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক শিশুকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সন্দেহে আইসোলেশন থেকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে শিশুটিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হবে।
এদিকে দুপুরে ওই শিশুর মা–বাবাসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যকে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। একতলাবিশিষ্ট বাড়িটি ‘লকডাউন’ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
এর আগে সাত মাসের ওই ছেলেশিশুকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তাপস কুমার সরকার বলেন, ২৩ মার্চ শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন তার পরিবারের সদস্যরা। ওই সময় শিশুটির জ্বর, ঠান্ডা ও কাশি ছিল। ওই দিনই পরিবারের সদস্যরা জানান, তাঁদের কেউ বিদেশ থেকে আসেননি বা প্রবাসী কারও সংস্পর্শে কেউ যাননি। ওই শিশুকে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। তাঁর অবস্থা বৃহস্পতিবার অবনতির দিকে যায়। তাকে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। বিষয়টি আইইডিসিআরকে জানানো হয়েছে।
শিশুটির পরিবারের এক আত্মীয় জানান, শিশুটির বাবা ৯ মার্চ সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আসেন। তিনি পরিবারের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে ছিলেন। এ তথ্য জানার পর শিশুটিকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে কুষ্টিয়া শহরে ওই প্রবাসীর বাড়িতে পুলিশ নিয়ে যান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী। ওই প্রবাসীর সঙ্গে কথা বলে পরিবারের পাঁচ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়।ইউএনও জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘দুপুরে বাড়িতে লাল নিশান টাঙানো হয়েছে। বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে।’
চিকিৎসা কর্মকর্তা তাপস কুমার বলেন, শিশুটির শরীরে করোনার সব রকম উপসর্গ দেখা গেছে। বিকেলে তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। সেখানে পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে, সে করোনায় আক্রান্ত কি না। পজিটিভ এলে হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক ও নার্সকে কোয়ারেন্টিনে দেওয়া হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।