Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

করোনার ভয়াবহ প্রভাব দক্ষিণ পশ্চিমের পোল্ট্রি শিল্পে

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০২০, ২:৩৭ পিএম

করোনার ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে পোল্ট্রি শিল্পে। দক্ষিণ পশ্চিমে প্রতিদিন ২ লাখ পোল্ট্রি মুরগীর বাচ্চা মারা পড়ছে। এসব বাচ্চা দ্রুততম সময়ে হ্যাচারি থেকে খামারে স্থান্তারিত না হওয়ায় মারা পড়ছে বলে জানিয়েছেন হ্যাচারি মালিকরা। তারা বলছেন ৩২ টাকা খরচে উৎপাদিত প্রতিটি বাচ্চা ফ্রি দিলেও খামারীরা নিতে চাচ্ছেন না। আবার স্বয়ংক্রিয় উৎপাদন প্রক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ রাখা যাচ্ছে না। ফলে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা লোকসান গুনছেন হ্যাচারি মালিকরা। একই সাথে পোল্ট্রি শিল্পের সাথে জড়িত খামারী ও ফিড উৎপাদনকারীরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
জানা গেছে, আফিল হ্যাচারি, কাজী হ্যাচারিসহ ছোটবড় পাঁচটি হ্যাচারিতে প্রতিদিন ৪ লাখ বাচ্চা উৎপাদিত হয়। করোনার প্রভাবে পোল্ট্রি মুরগির বিকিকিনিতে ধস নেমেছে। হ্যাচারি থেকে খামারিরা এক প্রকার বাচ্চা কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। যশোরের সবচেয়ে বেশি বাচ্চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আফিল এগ্রো লিমিটেড প্রতিদিন এক লাখের বেশি বাচ্চা উৎপাদন করে।
এ ফার্মের টেকনিক্যাল ম্যানেজার তোফায়েল আহমেদ জানান, ডিম পাড়ানোর চার মাস পূর্বে একটি মুরগী প্রস্তুত করা হয়। এ মুরগী টানা দেড় বছর ডিম দেয়। প্রতিদিন বাচ্চা উৎপাদনের জন্য ২১দিনের ডিম ইনকিউবেটর মেশিনে চাপাতে হয়। একদিন বয়সী বাচ্চা বিক্রি করা হয়। বাচ্চা উৎপাদন বন্ধ করতে হলে কমপক্ষে ২১দিন অপেক্ষা করতে হয়। আবার উৎপাদন প্রক্রিয়া একবার বন্ধ করলে পুনরায় চালু করা অনেক ব্যয় সাপেক্ষ। সে ক্ষেত্রে হ্যাচারি একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে।
খুলনা বিভাগীয় প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম মোল্লা জানান, করোনার প্রভাবে পোল্ট্রি শিল্পে আঘাত পড়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ