নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : ইউরো চ্যাম্পিয়ন্সশিপের ফাইনালে প্রতিপক্ষ ফরাসি ফুটবলার পায়েতের আঘাতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। তাতে অবশ্য পর্তুগালের প্রথম শিরোপাজয় আটকে থাকেনি। পরে পায়েত স্বীকার করেন, তিনি ইচ্ছা করে রোনালদোকে আঘাত করতে চাননি, ওটা খেলারই একটা অংশ। এ পর্যন্ত সবারই জানা। কিন্তু রোনালদোর পরিবার এ আঘাতটাকে মোটেও সহজভাবে নেননি। এর আগে তার মা একহাত নিয়েছিলেন পায়েতকে। এবার রোনালদোর পপস্টার বোনও সেই আঘাতের সমালোচনা করলেন। ভাইয়ের এই আঘাতকে যিশুর আঘাতের সঙ্গে তুলনা করলেন রোনালদোর বোন কাতিয়া আভেইরা!
কাতিয়া বলেন, “চোট পাওয়া ভাইকে দেখে মনে হচ্ছিল কেউ যেন বুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারছিল। আমরা সকলেই ওর সঙ্গে কাঁদছিলাম। সকলেই ওর মতো যন্ত্রণায় ছটফট করছিলাম।” কাতিয়া আরও যোগ করেন, “কিন্তু ঈশ্বর সর্বময়। ঠিক যেমন যিশু খ্রিস্ট নিজে ক্রুশবিদ্ধ হয়ে আমাদের সকলের জন্য সুন্দর পৃথিবী গড়ে দিয়ে গিয়েছেন, ক্রিশ্চিয়ানোও একইরকম যন্ত্রণা ভোগ করেছে। সতীর্থদের সাহায্য করতে না পেরে কেঁদেছে। তারপরও ঈশ্বর ওদের হাতে ট্রফি তুলে দিয়েছেন। পর্তুগাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।’
ফাইনালে ফ্রান্সের মিডফিল্ডার দিমিত্রি পায়েতের আঘাতে রোনলদোকে খেলার ২৪ মিনিটেই মাঠ ছাড়তে হয়। যদিও অতিরিক্ত সময়ে এদেরের করা একমাত্র গোলে তার দল প্রথমবারের মতো ইউরোর শিরোপা নিজেদের ঘরে তোলে তার দল। তাই সেই চোট নিয়ে এখন কোনো মাথাব্যথা নেই রোনালদোর। শিরোপা জয়ের আনন্দেই বুঁদ হয়ে আছেন এ তারকা ফুটবলার।
২০০৪ সালে গ্রীসের কাছে হেরে পর্তুগালকে রানার্স আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। সেদিন অঝোরে কেঁদেছিলেন রোনালদো। ওটিই ছিল ফুটবলে পর্তুগালের সবচেয়ে বড় অর্জন। তারপর থেকেই রোনালদো স্বপ্ন দেখে আসছিলেন দেশের হয়ে শিরোপা জয়ের। অবশেষে ফ্রান্সকে হারিয়ে এক যুগ পর সেই স্বপ্ন পূরণ হয় রিয়াল মাদ্রিদ তারকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।