বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হাঁ। অবশেষে খোঁয়াড়েই ঢোকানো শুরু হলো। চট্টগ্রাম মহানগরীতে খোঁয়াড়ে নিয়ে যাওয়া হলো ২০ জন বিদেশি নাগরিককে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সদ্য বিদেশফেরতরা হোম কোয়ারেন্টাইন লঙ্ঘন বা ফাঁকি দিয়েই ঘুরছিলেন।
আর এখন প্রশাসন, চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসিরা হন্যে হয়ে খুজছে তাদের কে কোথায় কী করছে। প্রশাসন জানায়, এদের বিরুদ্ধে চলবে অভিযান। প্রয়োজনে মাঠে দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেওয়া হবে।
কারণ করোনায় সংক্রমণ রোধে সামাজিক ও সংশ্রবে বিচ্চন্নতা এ এমুহূর্তে জরুরি।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বন্দরনগরীর অভিজাত খুলশী আবাসিক এলাকায় থাকা ২০ জন বিদেশি নাগরিককে হাতেনাতে ধরে পাঠানো হয়েছে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে। তাছাড়া জরিমানা এবং তাদের বাড়ি বাড়ি লাল পতাকা উড়িয়ে চিহ্নিত রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে গতকাল মঙ্গলবার রাতে অপর এক অভিযানে নগরীর নিউ চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় এবং বাকলিয়া সৈয়দ শাহ রোডে দুইটি ভবন লকডাউন করে লাল পতাকা তুলে দিয়েছে পুলিশ। জানা গেছে, কক্সবাজারের একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত মহিলার দুই ছেলের বাসাবাড়িতে পুলিশ গিয়ে তালা লাগায়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, কক্সবাজারের এক মহিলার শরীরের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ওমরাহ করে তিনি গত ১৩ মার্চ দেশে ফিরেন, চান্দগাঁও ছেলের ও বাকলিয়ায় দুই ছেলের বাসায় উঠেন। করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসায় বাড়ি দুইটি লকডাউন করা হয়েছে।
গত ১৮ মার্চ শ্বাসকষ্ট ও জ্বরের উপসর্গ নিয়ে উক্ত মহিলাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। পরে তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইডিসিআরে পাঠানো হলে গতকাল মঙ্গলবার ওই মহিলা করোনা আক্রান্ত বলে চিহ্নিত হন।
কী করছে বিদেশিরা-
চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী অভিজাত এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অন্তত ২০ জন বিদেশি নাগরিকের হোম কোয়ারেন্টিন না মানার প্রমাণ পেয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম।
অভিযানে খুলশী এলাকার বিদেশি নাগরিকদের অবাধে আনাগোনা হয়, এমন একটি কোরিয়ান রেস্তোরাঁও বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। খুলশীতে সদ্য ফেরা বিদেশি নাগরিকরা হোম কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশনা মানছেন না এমন খবর পেয়েই উক্ত অভিযান চালানো হয়। খুলশীতে বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা বসবাস করেন। তারা চট্টগ্রামে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
অভিযানকারী কর্মকর্তারা জানান, খুলশীতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় কমপক্ষে ৩০ জন বিদেশি নাগরিক মার্চ মাসে বাংলাদেশে এসেছেন। তারা দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, চীন থেকে আসেন।
এই ৩০ জনের মধ্যে ২০ জনই হোম কোয়ারেন্টাইন না মানার প্রমাণ মিলেছে। এরপরই তারা যেসব বাসায় থাকেন সেগুলোতে লাল পতাকা উড়ানো হয়েছে। বাসাগুলোতে বিদেশি নাগরিকের নাম-পরিচয়সহ রেড স্টিকার লাগানো হয়। তারা এখন সেসব বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন।
তাছাড়া বিদেশফেরত একজন জাপানি হোম কোয়ারেন্টাইন ফাঁকি দিয়ে বিচরণ এবং তার অফিস করার তথ্য মিলেছে। তাকে নজরদারি করতে পুলিশকে বলা হয়।
দক্ষিণ কোরীয় এক নাগরিক গত ১৫ মার্চ বাংলাদেশে ফিরে হোম কোয়ারেন্টাইন না মেনে নিয়মিত খুলশী ২ নম্বর রোডের একটি রেস্তোরাঁয় যাতায়াত করছিলেন বলে প্রমাণ পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। খুলশীর সেই রেস্তোরাঁটি বন্ধ করতে পুলিশকে বলা হয়।
এদিকে খুলশী থানা পুলিশ জানায়, ওই এলাকায় বিদেশিদের হোম কোয়ারেন্টাইন পালন এবং সার্বিক আনাগোনার নজরদরি করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার দৈনিক ইনকিলাব অনলাইনে
"জনমনে উদ্বেগ- দায় কার? মার্কেট শপিংমল বন্ধ থাকুক চান চট্টগ্রামবাসী : হোম কোয়ারেন্টাইন অমান্যকারীক বিদেশফেরতদের বেপরোয়া ঘোরাঘুরি করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছেই" এবং আজ বুধবার ইনকিলাব (প্রিন্ট ভার্সন) "খোঁয়াড়ে ফেরানোর উপায়!" শীর্ষক সরেজমিন সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।