বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বেনাপোল স্থলবন্দরে আটকা পড়েছেন শতাধিক কাশ্মীরি মেডিকেল শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার সকালে তারা ভারতে ঢুকতে চেয়েও পারেননি।
বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ওই শিক্ষার্থীদের পাসপোর্ট ও ভিসা যাচাই করে তাদের ছেড়ে দেয়ার পর স্থলবন্দরের ভারত অংশে অর্থাৎ পেট্রাপোল থেকে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। খবর বিবিসির।
বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, আটকেপড়া শিক্ষার্থীদের অর্ধেকই নারী, তারা সবাই এখন বন্দরের বাইরে বারান্দায় অপেক্ষা করছেন।
কাশ্মীরের এসব শিক্ষার্থী সবাই বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে পড়ালেখা করেন।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এরা ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশালে নানা মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করেন। বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে দেয়া হয়েছে ১৬ মার্চ।
ভারতে বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্য দেশের নাগরিকদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ১৩ মার্চ রাতে। কিন্তু এ সময় ভারতে দেশটির নাগরিকরা যাতায়াত করতে পেরেছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক মোহাম্মদ মামুন কবির তরফদার জানান, ভারতের নাগরিকরা বাংলাদেশে ঢুকেছে, বেরও হচ্ছে; কিন্তু বাংলাদেশি নাগরিক এবং বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের নাগরিকদের ভারতে ঢোকা বন্ধ ১৩ মার্চ থেকে।
করোনা পরিস্থিতিতে সোমবার পশ্চিমবঙ্গ ঘোষণা করেছে লকডাউন। এ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় পাসপোর্টধারীদের বেনাপোলে ভিড় বেড়েছে।
প্রচুর ভারতীয় নাগরিক সোমবার তাদের নিজ দেশে ঢুকেছে। কিন্তু বিপত্তি হয়েছে মঙ্গলবার সকালে যখন কাশ্মীরের ছাত্রছাত্রীরা ভারত ঢুকতে যায়।
কাশ্মীরের ওই শিক্ষার্থীরা হয় জানত না, নতুবা দেরি করে ফেলেছে। এখন আমরা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করছি।
ভারতের ইমিগ্রেশন বলছে, ভারতের সিদ্ধান্ত পেট্রাপোল এখন কাউকে নিতে পারবে না। আর কেউ বের হলেও তাকেও নেবে না। একেবারে লকডাউন।
কাশ্মীরের শিক্ষার্থীরা বেনাপোলের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে বলছেন, তারা কাল জানতে পেরেছে এবং তারা দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলে এসেছে। সবার কাছে ভারতীয় পাসপোর্ট, লিগ্যাল ভিসা; আমরা এখন কী করব জানি না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।