Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

করোনা ঝুঁকিতে কক্সবাজার : অব্যাহত জেলা প্রশাসনের সতর্কতা ও মসজিদে বিশেষ দোয়া-মোনাজাত

বিশেষ সংবাদদাতা কক্সবাজার | প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০২০, ১২:২৯ পিএম

প্রচন্ড করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে পর্যটন এলাকা কক্সবাজার। বিশেষ করে পর্যটক সমাগম, রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং মহেশখালী মাতারবাড়ির কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত বিদেশী এবং সম্প্রতি বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের নিয়ে এই উদ্বেগ রয়েছে বেশী। তবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন করোনা প্রতিরোধে ব্যাপক সতর্কতামুলক ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন। সতর্ক করে যাচ্ছেন জনগনকে। মসজিদে মসজিদে অব্যাহত রয়েছে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত।

ইতোমধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে কক্সবাজারের সকল পর্যটন স্পট। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সৈকতের কিটকট ছাতাসহ সব ধরনের বিনোদন সরঞ্জাম। খালী করে দেয়া হয়েছে দুই শতাধিক হোটেল মোটেল। বিভিন্ন জায়গায় চেক পয়েন্ট বসিয়ে নিরুতসাহিত করা হচ্ছে পর্যটকদের।

এই পর্যন্ত বিদেশ ফেরত ১১২ জনকে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে। আক্রান্তদের ধ্রুত চিকিৎসা দেয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও চকরিয়া হাসপাতালে।

জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠন সতর্কতামুলক প্রচারপত্র বিলি করে জনগনকে সতর্ক করে যাচ্ছেন। মসজিদে মসজিদে ইমাম সাহেবরা করোনার আক্রমণ থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর দরবারে বিশেষ মোনাজা অব্যাহত রেখেছেন।

ওদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন এনজিও সংস্থার চিকিৎসা কেন্দ্র গুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ক্যাম্পে নতুন কোন বিদেশীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অব্যাহত রয়েছে সতর্কতামুলক প্রচারপত্র বিলিও হাত ধূয়া কর্মসুচী। অফিস আদালত হাসপাতাল-ক্লিনিক সমুহে ক্লিনার দিয়ে হাত পরিষ্কার করা ছাড়া কাউকেই ঢুকতে দেয়া হচ্ছেনা।

বিদেশ ফেরত বেশ কয়েকজনকে বাইরে গুরাফেরা করায় ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানা করে সতর্ক করেছে।

টুরিস্ট পুলিশের এডিশনাল এসপি ফখরুল ইসলাম বলেন, পর্যটক এবং পর্যটক ব্যবসায়ীদের কষ্ট হলেও সাময়িকভাবে এই ব্যবস্থা জরুরী ছিল।
হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ ও রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতি নেতা আলহাজ্ব আবুল কাশেম সিকদার বলেন, তাদের কোটি কোটি টাকা লস হলেও করোনা মহামারি প্রতিরুধে এই ব্যবস্থার বিকল্প নেই।

সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প সহ কক্সবাজারে সর্বোচ্চ সতর্ক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। হাসপাতল গুলোতে আইসোলেশন সেন্টারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

উখিয়ার ইউএনও নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, প্রয়োজনে আক্রান্তদের জন্য নতুন হাসপাতাল স্থাপনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, এব্যাপারে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সাথে কথা বলে রাখা হয়েছে। সর্ট নোটিশে তা করে নেয়া যাবে। এজন্য জায়গাও দেখে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে কক্সবাজার শহর এবং উপজেলা সদরের কাচাঁ বাজার গুলোতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সংকটের অযুহাতে কিছু কিছু ব্যবসায়ী চড়ামুল্যে মালামল বিক্রি করায় জরিমানা ও শাস্তি দেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ