পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গত ১০মার্চ নিখোঁজ হওয়া সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের সর্বশেষ অবস্থান সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। ওই দিন সন্ধ্যা ৬টা ৫১ মিনিটে একটি বাইকে চড়ে চলে যেতে দেখা যায় তাকে। গতকাল শনিবার মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে সিসিটিভি ফুটেজটিও প্রকাশ করা হয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর দক্ষিণ এশিয়া ক্যাম্পেইনার সাদ হাম্মাদি বলেন, সম্ভাব্য গুমের শিকার হওয়ার আগে সর্বশেষ যেদিন সাংবাদিক শফিকুলকে দেখা গিয়েছিল, সেদিন অজ্ঞাত কয়েকজন তার মোটরসাইকেলের চারদিকে ঘোরাঘুরি করছিলেন।
সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া অজ্ঞাতদের সন্দেহজনক আচরণ প্রমাণ করে কাজলের বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্ত শুরুর মাত্র একদিন পরই তাকে অনুসরণ করা হচ্ছিল। ওই দিনের পর থেকে তার দেখা মেলেনি এবং তিনি কোথায় আছেন কিছুই জানা যায়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০ সালের ১০ মার্চ বিকাল ৪টা ১৪ মিনিটে মোটরসাইকেলে শফিকুল ইসলাম কাজল ঢাকার হাতিরপুলে মেহের টাওয়ারে তার অফিসে পৌঁছান। এরপর তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগের আগ পর্যন্ত তার বাইকের আশপাশে বেশ কয়েকজনকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। বিকাল ৫টা ৫৯ মিনিট থেকে ৬টা ৫ মিনিটের মধ্যবর্তী ৬ মিনিট তিন জন ব্যক্তি আলাদা আলাদাভাবে মোটরবাইকটির কাছে যান। ৬টা ১৯ মিনিটে কাজলকে অন্য একজন ব্যক্তির সঙ্গে অফিস থেকে বের হয়ে নিজের বাইকের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে দেখা যায়। পরে তিনি ফিরে আসেন এবং সন্ধ্যা ৬টা ৫১ মিনিটে বাইকে চড়ে চলে যান। এটাই ছিল তার প্রকাশ্যে সর্বশেষ দেখা যাওয়ার মুহূর্ত।
ব্জ্ঞিপ্তি থেকে আরও জানা যায়, তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা অভিযোগ ১১ মার্চ নিবন্ধন করে পুলিশ। কিন্তু প্রথম কয়েকদিন এ ঘটনা তদন্ত করতে অস্বীকৃতি জানায় তারা এবং কাজলকে তাদের হেফাজতে রাখার কথাও অস্বীকার করে। ১৮ মার্চ হাইকোর্টের নির্দেশ পুলিশকে জানানোর পরই শুধু তারা এ বিষয়ে প্রাথমিক পদক্ষেপ নেয়। সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল নিখোঁজ হওয়ার আগের দিন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার এবং আরও ৩১ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দায়ের করেন। ফেসবুকে ‘ভুল, আক্রমণাত্মক ও অবমাননাকর’ বক্তব্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে। গত বছর স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ অন্তত ৩৪ জন ব্যক্তি গুম হওয়ার অভিযোগ করে। এদের মধ্যে ৮ জনের লাশ পাওয়া যায়, ১৭ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয় এবং বাকি ৯ জনের ভাগ্য কী ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি।
সাদ হাম্মাদি বলেন, কাজল কোথায় কী অবস্থায় আছেন, তা প্রকাশ করতে এবং রাষ্ট্রীয় হেফাজতে রাখা হলে তাকে মুক্তি দিতে আমরা কর্তৃৃপক্ষের কাছে আহবান জানাচ্ছি। চকবাজার থানার ওসি মওদুদ হাওলাদার বলেন, অ্যামনেস্টি একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে বলে তারা শুনেছেন। তবে ওই ফুটেজ থেকে কাউকে শনাক্ত করা হয়নি। তারা খোঁজখবর করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।