পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সততা ও সাহসের সাথে ভূমিকা রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সাংবাদিকরা পরামর্শ দিয়েছেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গতকাল ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে সিনিয়র সাংবাদিরা এ পরামর্শ দেন।
সংলাপে অংশ নেওয়া সিনিয়র সাংবাদিকরা বলেন, নতুন কমিশনকে সততা এবং সাহস নিয়ে কাজ করতে হবে। ক্ষমতাসীনদের হস্তক্ষেপ বন্ধে নির্বাচন কমিশনের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা করার কথা তারা বলেছেন। এ ছাড়া প্রয়োজনে একদিনে ভোট না করে কয়েকদিনে ভোট করার পরামর্শও দেয়া হয়।
সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান বলেন, আমরা দেখতে চাই- ইসি কোনো দল বা মহলের নয়। ইসি দেশের। সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে এবং ইসির ওপর অর্পিত দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে হবে। সরকারের দিকে তাকাবেন না। কোনো প্রভাবশালীদের দিকেও তাকাবেন না। সংবিধানে আপনাদের যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেটা ভালোভাবে পালন করলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।
প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন, নির্বাচন কমিশনকে বিগত তিনটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে হবে। পর্যালোচনা করে দেখতে হবে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ক্ষেত্রে কি কি বাঁধা ছিল। সেই বাঁধাগুলো দূর করতে হবে। তিনি বলেন, বিগত নির্বাচন কমিশন ও প্রাশাসন সরকারের প্রতি অনুগত ছিল। সেই অনুগত অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে সাহসী ভূমিকা নিতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিজস্ব জনবলকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত করতে হবে। তাহলে প্রাশাসনিক এবং সরকারি হস্তক্ষেপ অনেক কমে যাবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে অবশ্যই বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে উদ্যোগ নিতে হবে। আর সে উদ্যোগ নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে। কারণ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ইসির। এজন্য বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে ইসির এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে সবার আগে সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। সাধারণ জনগণের আস্থা ফেরাতে না পারলে গ্রহণযোগ্য ভোট হবে না।
সংলাপ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, সাংবিধানিকভাবে আইন ও বিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের শপথ নিয়েছি। সুষ্ঠু নির্বাচন করার প্রয়াসের কোনো ত্রুটি থাকবে না। সর্বপ্রয়াস, সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করবো অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু নির্বাচন করার।
সিইসি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার রাজনৈতিকভাবে ফয়সালা হবে। তবে আইন ও সংবিধানের অধীনে থেকেই কাজ করবে নির্বাচন কমিশন। তিনি বলেন, আমরা সংলাপ করছি, সংলাপের ফলাফল লিপিবদ্ধ করে, পর্যালোচনা করা হবে।
সুষ্ঠু নির্বাচন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, এখনও এ বিষয়ে কিছু বলার পরিস্থিতি হয়নি। আমরা আরও শুনবো এবং সবসময়ই আশাবাদী। আমাদের প্রয়াসের কোনও ত্রুটি থাকবে না। মানুষের সাধ্য, প্রচেষ্টা সৌহার্দ্য থাকতে পারে। আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে একটি সুন্দর ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের চেষ্টা করবো। নির্বাচনে যে সমস্যাগুলো আছে, সেগুলো সংলাপে আলোচনা হয়েছে, যা আমরা শুনেছি।
এর আগে নির্বাচন কমিশন প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে এবং দ্বিতীয়বার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে সংলাপ করেছেন। তবে সেব সংলাপে আমন্ত্রিতরা তেমন সাড়া দেননি। প্রথম সংলাপেই আমন্ত্রিত ৩০ জন শিক্ষাবিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ১৩ জন। এর পর দ্বিতীয় সংলাপে ৪০ জন আমন্ত্রিত বিশিষ্টজনের মধ্যে ১৭ জন উপস্থিত ছিলেন। তৃতীয় দফায় সংলাপের জন্য ইসি ৩৪ জন সিনিয়র সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এবার সংলাপে উপস্থিত ছিলেন ২৩ জন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদকসহ সিনিয়র সাংবাদিকরা অংশ নেন। সম্পাদক ও সাংবাদিকদের মধ্যে ছিলেন, অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, প্রতিদিনের সংবাদ-এর সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম, আজকের পত্রিকার সম্পাদক মো. গোলাম রহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সরদার, ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, প্রথম আলোর আনিসুল হক, সোহরাব হাসান, ডেইলি অবজারভার অনলাইন ইনচার্জ কাজী আব্দুল হান্নান, সিনিয়র সাংবাদিক মাহবুব কামাল, ভোরের ডাকের সম্পাদক কে এম বেলায়েত হোসেন, ডেইলি স্টারের এক্সিকিউটিভ এডিটর সৈয়দ আশফাকুল হক, সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাসগুপ্ত, মানবকণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দুলাল আহমেদ চৌধুরী, আমার সংবাদের সম্পাদক হাশেম রেজা, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সম্পাদক ইনাম আহমেদ চৌধুরী, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন এবং সিনিয়র সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।