মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনার ত্রাসে কাঁপছে সারা বিশ্ব। কীভাবে করোনাকে ঠেকানো যায়, সংক্রমণ কীভাবে রোধ করা যায়, সেটা নিয়েই চিন্তায় রাষ্ট্রনেতারা। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা সামনে আনলেন নতুন তথ্য। তাতে বলা আছে, এই নিয়ে তৃতীয়বার পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী দেশের উপাধি পেল ফিনল্যান্ড। বাংলাদেশের অবস্থান ১০৭ তম।
গত বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২৫ তম। সেই তুলনায় ভালই উন্নতি হয়েছে বলা যায়। তালিকায় বাংলাদেশের থেকে অনেকটাই পিছনে রয়েছে ভারত। ১৪৪ তম স্থানে নাম রয়েছে ভারতের। গত বছরের সমীক্ষাতে ভারতের স্থান ছিল ১৪০ তম, তার আগে ১৩৩। উন্নতি না ঘটিয়ে বছরের পর বছর অবনতির দিকেই যাচ্ছে ভারত। প্রতিবেশীর তুলনায় অনেক উপরেই অবস্থান পাকিস্তানের। ইমরান খানের দক্ষ নেতৃত্বে দেশটি গত বছরের তুলনায় এক ধাপ এগিয়ে বর্তমানে ৬৬ তম অবস্থানে রয়েছে।
১৫৬টি দেশের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা এই শীর্ষ তালিকা প্রকাশ করেন। জিডিপি, সামাজিক সমর্থন, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও দুর্নীতির হারের উপর বিশেষ নজর রেখে এই তালিকা করা হয়েছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ডেনমার্ক, তৃতীয় সুইজারল্যান্ড। তারপরে রয়েছে আইসল্যান্ড ও নরওয়ে। শীর্ষ দশে থাকা বাকি দেশগুলো হল, নেদারল্যান্ড, সুইডেন, নিউ জিল্যান্ড, অস্ট্রিয়া ও এ বছর তালিকায় জায়গা করে নেয়া লুক্সেমবার্গ। যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে ১৮ তম অবস্থানে। ১৩ তম হচ্ছে যুক্তরাজ্য।
সুখীতম দেশ বলতে এটাই বোঝায়, যে দেশের মানুষ নিজেদের কখনও একাকী অনুভব করেন না, যেখানে মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে ও একে অপরের আনন্দ ভাগ করে নেন। সেই দেশ, যে দেশ নিজেদের প্রতিষ্ঠান সকলের সঙ্গে শেয়ার করেন। এর উপর নির্ভর করছে একটা দেশের সুখের মিটার। এছাড়া রয়েছে বিশ্বাস- দুঃখ-কষ্ট ভাগ করে নেয়ার প্রবণতা, সামাজিক বৈষম্য হ্রাসের চেষ্টাও। বছরের শুরু থেকেই দেশজুড়ে চলছে নানন সমস্যা। সহিংসতা, দারিদ্র্যের ছাপ স্পষ্ট ভারতে। ফলে তালিকার অনেকটাই নীচে রয়েছে ভারতের নাম। তবে ভারত একা নয়, জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ সুদান ও আফগানিস্তানের নাম রয়েছে সবচেয়ে নীচে। যা বিশ্বের সবচেয়ে দুঃখীতম দেশ হিসেবে চিহ্ণিত হয়েছে।
ফিনল্যান্ড কেন শীর্ষে? ওই দেশে রয়েছে হাজারো হ্রদ ও বনাঞ্চল। সেখানকার মানুষ প্রকৃতির মধ্যেই নিজেদেরকে নিয়ে মেতে থাকেন। ব্যক্তিগত বা স্বতঃফূর্ত আনন্দানুষ্ঠান থেকে সরে গিয়ে প্রকৃতির শান্ত, নিরিবিলিতেই বেঁচে রয়েছে এই দেশের আত্মা। ফিনল্যান্ডের বাসিন্দারা উচ্চ পর্যায়ের জীবনযাপনে বসবাস করেন। শুধু তাই নয়, নিরপত্তা ও গণপরিশেবাও রয়েছে উন্নতমানের। সামাজিক বৈষম্য ও দারিদ্রের হার সে দেশে খুবই কম রয়েছে। ২০১৮ ও ২০১৯ সালের বিস্বের সুখী দেশের সমীক্ষার তথ্য সংগ্রহ করে এ বছরের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যার পিছনে রয়েছে করোনা আতঙ্কের হাত। সূত্র: ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।