বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা দেশের সর্ববৃহৎ যৌনপল্লী দৌলতদিয়ায় সর্বসাধারণের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গতকাল বিকেল ৩টায় বন্ধ করে দেয়া হয় পল্লীর প্রবেশ পথ। ঘিঞ্জি পরিবেশ, অল্প জায়গায় বেশি মানুষের উপস্থিতি সেই সাথে পল্লীর বাসিন্দাদের অসচেতনতায় প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ভয়াবহ রূপ নেয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল।
জানা যায়, প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে হাজার হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করে। এখানে কে কোথা থেকে এসেছে বা থাকছে তার কোন সঠিক তথ্য জানা নেই কারো। বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করলেও প্রচÐ সংক্রমণ ঝুঁকি থাকা সত্তে¡ও দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে মানুষের আসা-যাওয়া ছিল নির্বিঘœ।
সরেজমিন গতকাল দুপুরে দেখা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার দিন দিন বেড়ে চলায় দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে মানুষের আসা-যাওয়া স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কমেছে। এখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে তেমন কোন সচেতনতা লক্ষ্য করা যায়নি। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ পল্লীতে যাতায়াত করছে। এসময় কয়েকজন যৌনকর্মী জানান, আমরা পেটের দায়ে এখানে আছি। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ আসা যাওয়া করে। কে অসুস্থ আর কে সুস্থ এটা বোঝা তো আমাদের পক্ষে সম্ভব না। তাই আমাদের কাছে যে আসে তাকেই তো ঘরে নিতে হয়। বর্তমানে আতঙ্কে এখানে লোকজনের সমাগম কমে গিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল ফকীর বলেন, দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর ৬টি প্রবেশ পথের মধ্যে ৫টি পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়ার জন্য শুধুমাত্র একটি পথ খোলা রাখা হয়েছে। এখানকার বাসিন্দাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের সহযোগিতা না করা হলে এখানে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে সর্বসাধারণের যাতায়াত বন্ধ করা হয়েছে। এ পল্লীতে তালিকাভুক্ত ১ হাজার ৬শ’ যৌনকর্মী বসবাস করে। প্রতিজনকে ১৫ কেজি চাল বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী দু’এক দিনের মধ্যে তা বিতরণ করা হবে। এছাড়া বাড়িওয়ালাদেরকে ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে বাড়িভাড়া না নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উপজেলার যে সকল বাড়িতে সদ্য দেশে ফেরা প্রবাসীরা আছে সে সকল বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইন ঘোষণা করে সাইনবোর্ড লাগিয়ে তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবায়েত হায়াত শিপলু জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় যৌনপল্লী বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এসময় তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে কিভাবে সহযোগিতা করা যায় তা বিবেচনা করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।