বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হসপিটাল কেয়ার অ্যান্ড পেশেন্ট মানেজমেন্ট অনুযায়ী আজ সকালেই নির্দেশ দিয়েছি সরেজমিনে প্রত্যেকটি হাসপাতাল পরিদর্শনের জন্য। যেসব হাসপাতালের কথা বলা হচ্ছে সেগুলো প্রস্তুত করা এবং যখনই প্রয়োজন হবে রোগী ভর্তি করা যেন যায় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইনশাল্লাহ আমরা অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবো।
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) আইইডিসিআর সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এখনও কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে যে ধারণ ক্ষমতা তার সামান্যই ব্যবহার হয়েছে। কালই করোনার রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে অন্য হাসপাতালে রোগী ভর্তির প্রয়োজন হতে পারে। অবশ্যই আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের বাইরে অন্যান্য হাসপাতালে করোনার রোগী ভর্তির প্রয়োজন নেই। কিন্তু যখনই রোগী ভর্তির প্রয়োজন হবে হাসপাতাল প্রস্তুত থাকবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা আজকে সব হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন, কীভাবে হাসপাতালগুলো চালু করা যায়।
তিনি বলেন, আমাদের আরও একটি হাসপাতাল রয়েছে মিরপুরে, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মা ও শিশু হাসপাতাল। ওই হাসপাতালটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত কিন্তু এখনো চালু হয়নি। ওই হাসপাতালটিকে করোনার জন্য অস্থায়ীভাবে চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমার সহকর্মীরা সে হাসপাতালটিও পরিদর্শন করবেন।
শুধু ঢাকা মহানগরীতে নয় দেশের সব জায়গা রোগী ভর্তি করার মতো ব্যবস্থা তৈরি আছে দাবি করে ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রতিটা মুহুর্ত, ২৪ ঘণ্টা আমরা কাজ করছি, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।
দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় যখন যা করা দরকার, যেমন দরকার, সেটাই করা হবে। চীনে কিন্তু স্টেডিয়ামকেও হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু রোগের জন্য ওতো ভালো হাসপাতাল না হলেও চলবে, তাদেরকে শুধু পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য আলাদা হাসপাতাল প্রয়োজন। আমাদের আর্মি ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করার মতো ক্যাপাসিটি আছে। আমরা প্রয়োজন হলে সে রকম জায়গায়ও করবো। তবে আমরা আশা করছি দেশে ওই ধরনের পরিস্থিতি হবে না ইনশাল্লাহ। ‘আমরা গত দুই মাস ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছি, প্রতিনিয়ত ভিডিও কনফারেন্সিং করছি, উপজেলা পর্যন্ত সকলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি, আমরা প্রস্তুত আছি ইনশাল্লাহ বাংলাদেশে এরকম পরিস্থিতি হবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল বলেছেন শাটডাউনের কথা। সে রকম কী কোনো এলাকা শাটডাউনের প্রয়োজন আছে কিনা জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, যেসব এলাকা থেকে নাম্বার অফ কেইসেস বেশি এসেছে আমরা ইতিমধ্যে তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছি ওই জায়গায় কতটুকু দরকার প্রয়োজনে সে অংশটুকু ওই ধরনের সতর্কতা রাখতে, চলাফেরা নিয়ন্ত্রিত করতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।