দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
পূর্ব প্রকাশিতের পর
নূর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে সমাজ আল্লাহর জিকির করে তাদেরকে আল্লাহর ফেরেশতারা ঘিরে রাখে, তাদেরকে রহমত আবৃত করে এবং তাদের উপর নেমে আসে শান্তি। আল্লাহ তায়ালা তাঁর ফেরেশতাদের নিকট তাদের সম্পর্কে আলোচনা করেন। (তিরমিজি শরীফ)। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সাত ধরনের লোককে ছায়া দান করবেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে তারা যারা আল্লাহর জিকির করতে করতে চক্ষু অশ্রæসিক্ত করে। (বোখারী শরীফ)। হযরত আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বর্নিত আছে যে, দয়াল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর একদল ফেরেশতা আছেন যাঁরা আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকা লোকদের খোঁজে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ফিরেন। যখন তাঁরা কোথাও জিকিরে রত লোকদের দেখতে পান, তখন তাঁদের একজন অন্যজনকে ডেকে বলেন, তোমরা নিজ নিজ কর্তব্য পালনের জন্য এখানে এসো। তখন তাঁরা সবাই জড়ো হয়ে তাঁদের ডানা দিয়ে লোকদের ঢেকে ফেলে দুনিয়ার আসমান পর্যন্ত। যখন তাঁদের রব (আল্লাহ) তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করেন আমার বান্দারা কি বলছে, তখন তারা বলেন, ওরা আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছে, আপনার শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করছে, আপনার প্রশংসা করছে এবং আপনার মাহাত্ম্য ঘোষণা করছে। তখন তিনি (আল্লাহ) জিজ্ঞাসা করেন: ওরা কি আমাকে দেখেছে? তাঁরা (ফেরেশতারা) বলেন: হে আমাদের রব! আপনার কসম! ওরা আপনাকে দেখেনি। তিনি বলেন, যদি ওরা আমাকে দেখত? তারা বলেন, ওরা যদি আপনাকে দেখত তাহলে ওরা আরও বেশি বেশি ইবাদত করত, আপনার মাহাত্ম্য বর্ণনা করত, আরো বেশি বেশি আপনার তসবীহ তাহলীল করত। তিনি বলেন ওরা আমার কাছে কি চায়? তাঁরা বলেন: ওরা আপনার কাছে জান্নাত চায়। তিনি জিজ্ঞাসা করেন: ওরা কি জান্নাত দেখেছে? ফেরেশতারা বলেন:না আপনার সত্তার কসম! হে রব! ওরা তা দেখেনি। তিনি জিজ্ঞাসা করেন: ওরা যদি তা দেখত তাহলে ওরা কি করত? ফেরেশতারা বলেন: ওরা জান্নাতের আরো বেশি প্রত্যাশি হতো এবং এর জন্য আরো বেশি উদগ্রীব হয়ে উঠত।
আল্লাহ তখন জিজ্ঞাসা করবেন: ওরা কিসের থেকে আশ্রয় চায়? ফেরেশতারা বলেন, জাহান্নাম থেকে। তিনি জিজ্ঞাসা করেন: ওরা কি জাহান্নাম দেখেছে? ফেরেশতারা বলেন: আল্লাহর কসম! তারা তা দেখেনি। তিনি জিজ্ঞাসা করেন: ওরা যদি তা (জাহান্নাম) দেখত তা হলে কি করত? তাঁরা বলেন, যদি ওরা তা দেখত তাহলে ওরা অধিকতর ভয় করত। তখন আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা স্বাক্ষী থাক, আমি তাদের ক্ষমা করে দিলাম। একজন বলেন, ঐ জিকির মাহফিলে অমুক ব্যক্তি ঐ দল ভুক্ত নয়। সে অন্য প্রয়োজনে সেখানে হাজির হয়েছে। আল্লাহ পাক বলেন, ওরা এমন মজলিশ ভুক্ত, যে মজলিশের কেউই বিমুখ হয় না। (বোখারী শরীফ)। হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা:) বলেন আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি শ্রেষ্ঠ জিকির হলো “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ” আর শ্রেষ্ঠ দোয়া হল “আল- হামদুল্লিল্লাহ।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।