পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : সার্ভিস বিলের দাবিতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি রফতানিমুখী পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। উত্তেজিত শ্রমিকরা দফায় দফায় বিক্ষোভ করেছেন। এক পর্যায়ে তারা এশিয়ান হাইওয়েতে (বাইপাস) অবস্থান নিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে সড়কের উভয় দিকে দীর্ঘ প্রায় দশ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার কালাদি ও ত্রীশকাহনিয়া এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শী, শ্রমিক ও পুলিশ জানায়, উপজেলার ত্রিশকাহনিয়া এলাকায় সিনহা গ্রæপের পৃথা ফ্যাশন নামের পোশাক কারখানা অবস্থিত। এ কারখানায় সাড়ে ৩ শতাধিক শ্রমিক এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে আসছেন।
গত ১২ জানুয়ারি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন মালিকপক্ষ। এর পরই শ্রমিকরা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তাদের সার্ভিস বিল দাবি করেন মালিকপক্ষের কাছে। শ্রমিকরা তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে কারখানায় টানা ১৩ দিন আন্দোলন করেন। এক পর্যায়ে মালিকপক্ষ ২৭ ফেব্রুয়ারি শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করবেন বলে আশ্বাস দেন কিন্তু ওই সময়ও পাওনা পরিশোধ করেননি। শ্রমিকদের চাপের মুখে ফের মার্চ মাসের ১৫ তারিখে পরিশোধ করার আশ্বাস দেন। গতকাল সকালে মালিকপক্ষের কথামতো বকেয়া পাওনার জন্য শ্রমিকরা গেলে ফের টালবাহানা শুরু করেন।
এরপর বেলা ১১টার দিকে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে ত্রিশকাহনিয়া কারখানার সামনেই বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা কালাদি এলাকার এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) অবরোধ করেন। অবরোধের ফলে সড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ঘন্টাব্যাপি শ্রমিকরা সড়কে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যান। এতে সড়কের উভয় দিকে প্রায় দশ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীসাধারন। খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের বুঝিয়ে শুনিয়ে ও পাওনাদি আদায়ের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শ্রমিকরা অভিযোগ করে আরো জানায়, একেক জন শ্রমিক প্রায় ৬০ হাজার টাকা করে সার্ভিস বিল পাবে। মালিকপক্ষ ওই বিলগুলো আত্মাসাত করার পাঁয়তারা করে আসছে। কারখানার জিএম খায়রুল ইসলাম প্রায় সময়ই শ্রমিকদের মামলা-হামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলে হুমকি দেয়। এ বিষয়ে জানতে কারখানার মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, কারখানার সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।