পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ৯ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ। ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল রোববার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল।
তিনি জানান, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক আমদানির সর্বশেষ পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উল্লিখিত সময়ে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক রফতানি ৪৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়ে ৯ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক আমদানি ২৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক রফতানি ২০ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়ে ১০ দশমিক ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করা অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে কম্বোডিয়া ৩২ দশমিক ৬৮ শতাংশ, পাকিস্তান ২৯ দশমিক ২৮ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ২৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ, ভিয়েতনাম ২২ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং মরক্কো ২০ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। এখন পর্যন্ত ইইউ’র আমদানির পরিসংখ্যান ইইউ’র বাজারে বাংলাদেশের পোশাকের ভালো অবস্থান নির্দেশ করে। কিন্তু, সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে খুচরা বিক্রেতারা ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতিতে বিশ্ব বাজারের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সংগ্রাম করছে। অনেক ইউরোপীয় ব্র্যান্ডের খুচরা বিক্রি হ্রাস পেয়েছে, যা তাদের ইনভেন্টরি স্টক বাড়িয়েছে। এই সমস্ত কারণ বিবেচনা করে, আগামীতে ইইউ বাজারে আমাদের রফতানি হ্রাসের আশঙ্কা আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।