Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনার প্রতিষেধক তৈরি, অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীদের দাবি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০২০, ৮:৫২ পিএম

যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইসরায়েল, কানাডা ও বিট্রেনের পর এবার করোনভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করে ফেলার ঘোষণা দিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এটি বাজারে আসতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে জানিয়েছেন তারা।

ব্রিসবেনের কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন বিজ্ঞানী এই সাফল্যের দাবি করেছেন। তাদের আবিষ্কৃত প্রতিষেধক করোনাভাইরাসকে (কোভিড-১৯) কার্যকরভাবে নিষ্ক্রিয় করতে পারবে বলে জানিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে গবেষণা দলের প্রধান ভাইরাল প্রোটিনের স্থিতিশীলতার বিষয়ে পোস্ট-ডক্টরাল স্টাডি সম্পন্ন করা ডক্টর কিথ চ্যাপেল বলেন, ‘আমাদের মনে হয় আমরা একটি নিরাপদ ও কার্যকর প্রতিষেধক তৈরি করে ফেলতে সক্ষম হয়েছি।’ গবেষণায় তাকে সহায়তা করেন তার দুই সহকর্মী পল ইয়ং এবং ট্রেন্ট মুনরো।

তারা ২৫০টি বিভিন্ন ধরণের প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণার পরে অবশেষে সফল হয়েছেন। তারা এই প্রতিষেধকের নাম দিয়েছেন ‘এস-স্পাইক’। এই প্রতিষেধক বর্তমানে পরীক্ষাগারে ইঁদুরের উপরে পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং আগামী জুন মাস থেকে এটি মানব দেহে প্রয়োগ করা যাবে বলে তারা আশা করছেন। চলতি বছরের শেষের দিকে এই প্রতিষেধকটি বাজারে পাওয়া যেতে পারে।

এ বিষয়ে চ্যাপেল জানান, যে কোন প্রতিষেধকটি মানবদেহে প্রয়োগের আগে দীর্ঘ সময় নিয়ে গবেষণা করতে হয়। তিনি বলেন, ‘সাতশ’ কোটি মানুষের জন্য একটি প্রতিষেধক তৈরির অর্থ, আমাদেরকে এর যে কোন প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিজ্ঞানীদের যে কোনও বাণিজ্যিক ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে এবং ভ্যাকসিনের সুরক্ষা বা দক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।’

বিজ্ঞানীরা জানান, কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন আবিস্কৃত ডিএনএ ভিত্তিক ‘মলিকুলার ক্ল্যাম্প’ প্রযুক্তির মাধ্যমে এই ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে। এই প্রযুক্তিতে চীনের প্রকাশিত করোনভাইরাস ডিএনএ সিকোয়েন্স ব্যবহার করে এমন একটি প্রোটিন তৈরি করা হয়েছে প্রকৃত ভাইরাসের মতোই দেখতে। এই প্রোটিনটি ভ্যাকসিনের মূল উপাদান, যা মানুষকে সুরক্ষা দেয় এমন প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম। ইতিমধ্যে এই প্রতিষেধক ইবোলা এবং করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ল্যাব পরীক্ষার প্রতিশ্রুত ফলাফল দেখিয়েছে। এখন পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে প্রতিষেধকটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে আনার উপায় খুঁজে বের করতে হবে, যার জন্য ব্যয় হতে পারে প্রায় ২০ থেকে ৩০ মিলিয়ন ডলার। সূত্র: ডেইলি মেইল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা

৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১০ ডিসেম্বর, ২০২২
৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ