গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রফিকুল ইসলাম সেলিম : চট্টগ্রাম অঞ্চলে জঙ্গি সংগঠনের তৎপরতা থাকলেও জঙ্গিবিরোধী অভিযানে পুলিশের সাফল্য নেই। গত মাসে জঙ্গি ধরার এক সপ্তাহের সাঁড়াশি অভিযানে প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে আটক করা হলেও তাতে সন্দেহভাজন জঙ্গি ছিল মাত্র দুজন। অন্যদিকে বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার জঙ্গিরাও জামিনে বের হয়ে যাচ্ছে। দুই মাসে অন্তত ১৪ জন জঙ্গি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিন নিয়ে পালিয়েছে। এতে এই অঞ্চলে ফের জঙ্গিরা সংগঠিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর চট্টগ্রামেও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বিদেশী নাগরিকদের অবস্থান যেখানে সেসব এলাকার বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এখন পর্যন্ত সরকারি তরফে বলা হচ্ছে, ঢাকা এবং কিশোরগঞ্জে হামলায় জড়িতরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মোজাহেদীন বাংলাদেশ-এর (জেএমবি) সদস্য। আর এজন্যই এই অঞ্চলে আতঙ্ক একটু বেশি। কারণ এখানে জেএমবির তৎপরতা প্রায়ই লক্ষ করা যায়।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে এসব এলাকার নিরাপত্তায় বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরপরও শঙ্কা কাটছে না। বিদেশীরা একান্ত প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হচ্ছেন না। বিদেশীরা নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তারা যেসব প্রতিষ্ঠানে আছেন সেসব প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বিদেশীদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি তিনটি ইপিজেড, এশিয়ান ইউনির্ভাসিটি ফর উইমেনসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক বিদেশী নাগরিক রয়েছেন। কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করছেন জাপানসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকেরা। নগর পুলিশের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, তাদের সীমিত সামর্থ্য অনুযায়ী বিদেশীদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি।
চট্টগ্রাম ওয়াসার বিভিন্ন প্রকল্পে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও উগান্ডার ৪০ জনের বেশি নাগরিক কাজ করছেন। এসব প্রকল্পে আগামী দুই মাসে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের অন্তত ১০০ জন নাগরিকের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এ অবস্থায় এসব বিদেশী নাগরিকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে ওয়াসার পক্ষ থেকে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে। উল্লেখ্য, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে চট্টগ্রাম ওয়াসা কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সিডিএ’র কয়েকটি প্রকল্পের সাথেও জাইকা জড়িত।
নগর পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, ঢাকা এবং কিশোরগঞ্জের হামলায় জেএমবির জঙ্গিরা জড়িত থাকায় এ অঞ্চলে ওই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। তারা কোথাও সংগঠিত হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চট্টগ্রামে বিভিন্ন সময়ে এই জঙ্গি সংগঠনের তৎপরতা দেখা গেছে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে গত বছরের শেষ দিকে দুটি অভিযানও পরিচালনা করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ওই দুটি অভিযানের ফলে বড় ধরনের হামলা বা নাশকতা থেকে রক্ষা পায় চট্টগ্রাম। দুটি অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা (এসপি) বাবুল আক্তার।
গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর কোরবানি ঈদের আগে নগরীর সদরঘাট থানার মাঝিরঘাটে একটি দুর্ধর্ষ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় নিজেদের ছোড়া গ্রেনেডে দুই ছিনতাইকারী মারা যায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ছিনতাইয়ের শিকার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সত্য গোপাল ভৌমিক। ঘটনাস্থল থেকে দুটি একে-২২ রাইফেল উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে ডিবি পুলিশের তৎকালীন এডিসি বাবুল আক্তার নিশ্চিত হন এটি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির কাজ। তারা তহবীল সংগ্রহ করতেই এই ছিনতাই করছিল। তদন্তের একপর্যায়ে নগরীর কর্ণফুলী থানার খোয়াজ নগরের একটি বাসায় হানা দিয়ে আবিষ্কার করে একটি জঙ্গি আস্তানা। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল সংখ্যক গ্রেনেড ও একে-২২ রাইফেলের গুলি। আটক করা হয় কয়েকজন জঙ্গিকে। যাদের মধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলে সামরিক কমান্ডার জাবেদও ছিল। ওই রাতেই আরো একটি অভিযান চালাতে গিয়ে নিজের গ্রেনেড বিস্ফোরণে মারা যায় জাবেদ।
বাকি সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। তারা স্বীকার করে নিজেদের তহবিল সমৃদ্ধ করতে তারা ছিনতাই করছিল। জঙ্গিদের একজন নগরীর বায়েজিদ এলাকায় নেংটা ফকির ও তার এক সহযোগীকে কুপিয়ে হত্যার কথাও স্বীকার করে। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে হাটহাজারী আমান বাজারে আরও একটি জঙ্গি আস্তানা থেকে আমেরিকান ¯œাইপার রাইফেল উদ্ধার করা হয়। তবে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় জঙ্গি ফারদিনসহ অনেকে।
বিগত ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে সিরিজ বোমা হামলার মধ্যদিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দেয় জেএমবি। ওই দিন চট্টগ্রামের আদালত ভবনসহ ২০টি স্পটে অন্তত ২৫টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটনায় জঙ্গিরা। এরপর একই বছরের ৩ অক্টোবর চট্টগ্রাম, ল²ীপুর ও চাঁদপুরের আদালতে বিচারকের এজলাস লক্ষ করে বই ও জ্যামিতি বক্সে রাখা বোমা ছুড়ে মারে জঙ্গিরা।
সর্বশেষ একই বছরের ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত ভবনের প্রবেশপথে পুলিশ চেকপোস্টে আত্মঘাতী হামলা করে জেএমবি। হামলায় জঙ্গি হোসেন আলী, এক পুলিশ সদস্য, সাবেক এক ফুটবলারসহ তিনজন মারা যায়। আহত হয় আরও অনেকে। এরপর তৎকালীন সরকারের সিদ্ধান্তে জঙ্গিবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানে জেএমবির সকল গোপন আস্তানা তছনছ করে দেয় র্যাব-পুলিশ। নিষিদ্ধ করা হয় এই জঙ্গি সংগঠনটিকে। অসংখ্য জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। বিচারে অনেকের সাজা হয়। জেএমবির পাশাপাশি হিযবুত তাহরীরও চট্টগ্রামে তৎপরতা শুরু করে। সম্প্রতি শহীদ হামজা ব্রিগেড নামে আরও একটি নতুন জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব খুঁজে পায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের দাবি এরা মূলত নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি ও হিযবুত তাহরীরের সদস্য। বিভিন্ন নামে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে অপতৎপরতা চালাচ্ছে।
সম্প্রতি এসব জঙ্গি সংগঠনের তৎপরতা বাড়তে শুরু করে। জঙ্গিদের কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে যাওয়ার ঘটনাও বেড়ে যায় অস্বাভাবিক হারে। কারাগারের হিসাবে গত দুই মাসে অন্তত ১৪ জন জঙ্গি জামিনে মুক্ত হয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হয়ে গেছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হতেই ফের কারাফটকে আটক হচ্ছেন। নতুন নতুন মামলায় তাদের আসামী দেখিয়ে চালান দেয়া হচ্ছে। জঙ্গিদের ব্যাপারে দেখা যাচ্ছে ভিন্নচিত্র। জামিন পেয়ে তারা নিরাপদেই কারাগার থেকে গন্তব্যে চলে যাচ্ছে।
নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়কারী শেখ ওমর শরীফ গত ৩০ মে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। একইদিনে জামিনে বেরিয়েছেন হরকাতুল জেহাদ-হুজি নেতা আবুল কালাম। এভাবে গত দুই মাসে চিহ্নিত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের কমপক্ষে ১৪ জন সদস্য জামিন পেয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে গেছে।
চিহ্নিত জঙ্গিদের জামিনে বের হয়ে যাওয়ার জন্য আইনজীবীরা দায়ী করেছেন পুলিশকে। তারা বলছেন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো হয় সন্ত্রাস দমন আইনে। তারাই মামলার এজাহার দাখিল করে, অভিযোগপত্র প্রস্তুত করে, আসামিদের জন্য ফরোয়ার্ডিং দাখিল করে। একমাত্র বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ার পরই সেটা কৌসুলিদের কাছে যায়। সুতরাং জামিনের দায়টাও পুলিশেরই। তারা সঠিকভাবে মামলা তদন্ত করলে আসামীরা জামিন পেতে পারে না।
জানা যায়, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের আটক ও জামিনে মুক্ত হওয়া জঙ্গিদের নিয়ে ৫৯ জনের একটি তালিকা তৈরি করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। তালিকা পর্যবেক্ষণে ১৪ জনের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের ৮ জন, জেএমবির একজন ও হরকাতুল জেহাদের আছে দুজন। জঙ্গি কার্যক্রমে অভিযুক্ত শহীদ হামজা ব্রিগেডের আছে তিনজন। হিযবুত তাহরীরের জামিনে মুক্ত পাওয়া সদস্যরা হলÑবোয়ালখালীর রায়হানুল ইসলাম ও হাবিবুন্নবী ওরফে আশিকুর রহমান, কক্সবাজারের পেকুয়ার আরিফুল ইসলাম ও কুতুবদিয়ার ইফতেখারুল ইসলাম, সীতাকুÐের আব্দুল কাদির, হাটহাজারীর মো. ইসমাইল, জামালপুরের মো. আবুল কালাম এবং চাঁদপুরের শেখ ওমর শরীফ (সাবেক সহকারী জজ)।
হিযবুত তাহরীরের সদস্যরা ৪ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জামিনে বেরিয়ে গেছেন। এর মধ্যে ২০ এপ্রিল একদিনেই বেরিয়ে গেছে হিযবুত তাহরীরের তিন সদস্য। হুজির সদস্য পাবনার মো. আবদুল্লাহ আল আমিন গত ১৩ এপ্রিল এবং জামালপুরের মো. আবুল কালাম ২০ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছেন। ৪ মে জেএমবির নীলফামারীর মো. আবু হাফিজ চট্টগ্রাম কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে গেছে। শহীদ হামজা ব্রিগেডের হালিশহরের মোছাম্মৎ রহিমা আক্তার ৭ মে ও এনামুল হক ২০ জুন জামিনে বেরিয়ে গেছেন।
কারা কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, চিহ্নিত প্রত্যেক জঙ্গি সদস্য জামিনে মুক্ত হওয়ার আগে জেলা ও নগর পুলিশের বিশেষ শাখাকে অবহিত করা হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোন মামলায় পরোয়ানা কিংবা গ্রেফতার দেখানোর প্রয়োজন আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে এসব অভিযুক্ত জঙ্গি সদস্যদের বিষয়ে জোরালো কোন পদক্ষেপ দেখেননি কারা কর্মকর্তারা। এদিকে শনিবার দুপুরে সীতাকুÐ উপজেলার বাড়বকুÐ ও সোনাইছড়ি থেকে জঙ্গি সন্দেহে ৪ যুবককে আটক করে পুলিশ। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা আদৌ জঙ্গি কিনা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
এবারও জিএসপি সুবিধাবঞ্চিত বাংলাদেশ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রপ্তানিতে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (জিএসপি)প্রাপ্তদের তালিকা থেকে বাংলাদেশকে আবারো বাদ রেখেছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, শ্রমিক অধিকারের বিষয়টি সামনে রেখেই তারা বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে দিচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সংক্রান্ত সর্বোচ্চ সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ গত মাসেই এ তালিকা হালনাগাদ (আপডেট) করেছে। কারখানার কর্মপরিবেশের উন্নতির শর্ত বেঁধে দিয়ে ২০১৩ সালের জুনে বাংলাদেশী পণ্যে জিএসপি স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশের সঙ্গে ইকুয়েডর, ফিজি, জর্জিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, নাইজার, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, ইউক্রেন এবং উজবেকিস্তানকেও এ তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। বাদ দেয়ার পেছনে সব ক্ষেত্রে মূলত শ্রমিক অধিকারের বিষয়টিকেই সামনে রাখা হয়েছে। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর স্থগিত জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে দিতে ওবামা প্রশাসন পরে বাংলাদেশকে একটি অ্যাকশন প্ল্যান দেয়। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ অগ্রগতি প্রতিবেদন দিলেও বাংলাদেশকে বলা হচ্ছে, যে অগ্রগতি হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। জিএসপি স্থগিতের আগে এই স্কিমের আওতায় বাংলাদেশ ৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।