গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আশরাফুল ইসলাম নূর, খুলনা ব্যুরো : ডিআইজি’র বাসভবন, জেলা প্রশাসক ও কেএমপি কার্যালয়ের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে গত বছর। গত দু’মাসে খুলনা জেলা কারাগারে তিনদফা বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় মামলা হলেও বিস্ফোরণের মূলরহস্য উন্মোচিত হয়নি। ফলে খুলনার স্পর্শকাতর সরকারি স্থাপনা ও স্থানে অজানা আতঙ্ক থেকেই যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গেল বছরের ২৯ জানুয়ারি রাতে সংরক্ষিত এলাকা খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি’র বাসভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছিল। প্রায় একই সময়ে হরিণটানা থানার গেটেও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুষ্কৃতকারীরা। ওই বছরের ৩১ জানুয়ারি রাতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তর অভ্যন্তরে পরপর দু’টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। গত বছর ৪ ফেব্রæয়ারি রাতে খুলনা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের গাড়ির গ্যারেজে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। এসব ঘটনায় মামলা হলেও মূলরহস্য আজও অজানা খুলনাবাসীর।
সর্বশেষ গত ৯ জুলাই রাত ৭টা ৫৫মিনিটের দিকে খুলনা জেলা কারাগারের মধ্যে একটি বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। বোমাটি কারাগারের মধ্যে একটি গাছে লেগে বিস্ফোরিত হয়। বোমা বিস্ফোরণে কারাগারে কেউ হতাহত না হলেও হাজতি ও কয়েদীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার রাতেই খুলনা জেল সুপার কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। এর আগে, গত ৭ জুন খুলনা কারাগারের জেলার জান্নাতুল ফরহাদের বাসভবনের সামনে দুষ্কৃতকারীরা বোমা হামলা চালায়। বিস্ফোরিত বোমায় কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। তারআগে, গত ১৫ মে খুলনা জেলা কারাগার সংলগ্ন কারাগারের তত্ত¡াবধায়ক মোঃ কামরুল ইসলামের সরকারি বাসভবনের সামনে দুষ্কৃতকারীরা বোমা নিক্ষেপ করে। বিস্ফোরিত বোমার স্পিøন্টারে জেল সুপারের প্রাইভেটকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গাড়িতে থাকলেও জেল সুপার কামরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা অক্ষত ছিলেন। ওইদিন তারা বাইরে যাওয়ার পূর্বমুহূর্তে দুষ্কৃতকারীরা এ বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।
সূত্রে জানা গেছে, মামলা দায়েরের পর পুলিশ একটু নড়েচড়ে বসে। শুরু করে অভিযান। অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতারকৃতদের আবার কারাগারে প্রেরণ করা হয়। গত দুই মাসের বোমা হামলার ঘটনার পর দৃশ্যমান হিসেবে পুলিশ এ কাজগুলো করতে পেরেছে। কিন্তু মূলরহস্য উন্মোচনে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। গত ১৫ মে জেল সুপার কামরুল ইসলামের বাসভবনের সামনে বোমা নিক্ষেপের মামলায় বিএনপি ও ছাত্রদলের দুই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার পর অবশ্য বিএনপি দাবি করেছিল-দলীয় নেতাকর্মীদের হয়রানির অংশ হিসেবে গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, জেল সুপারের বাসভবন ও জেলারের বাসভবনের সামনে বোমা হামলার মামলার আসামি হিসেবে ছাত্রদল নেতা ইবাদুল হক রুবায়েদ, রকি, মেহেদী হাসান মামুন ও সিরাজকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বোমা হামলার সাথে জড়িত অপর আসামি রনি পলাতক রয়েছে। গতকাল সোমবার রকি, মেহেদী হাসান মামুন ও সিরাজকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
খুলনা জেলা কারাগারের সুপার মোঃ কামরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য দুষ্কৃতকারীরা বোমা হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। কারাগারের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।