মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বের অস্ত্র আমদানিকারক দেশের তালিকায় ২০১৯ সালে পাকিস্তান ছিলো ১১তম। অন্যদিকে তার চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। সোমবার স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট (সিপরি) এই তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, পাকিস্তানের কাছে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বিক্রি করেছে চীন, রাশিয়া ও ইটালি। তবে বৈশ্বিক হিসাবে পাকিস্তানের অস্ত্র আমদানি তুলনামূলক কমেছে।
সিপরি জানায়, ২০১৫-১৯ মেয়াদে পাকিস্তানের ৭৩% অস্ত্র এসেছে চীন থেকে। একই মেয়াদে রাশিয়া ও ইটালি থেকে আমদানির পরিমাণ ছিলো যথাক্রমে ৬.৬% ও ৬.১%। আলোচ্য মেয়াদে পাকিস্তানের অস্ত্র আমদানি ৩৯% কমেছে বলে দেখা যায়। পাকিস্তানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করে দেয়া এর কারণ। সিপরি জানায়, ইটালি ও তুরস্কের মতো শীর্ষ অস্ত্র রফতানিকারক দেশের অস্ত্র ক্রেতাদের শীর্ষ তিন দেশের একটি পাকিস্তান। পাকিস্তান ২০১৫-১৯ মেয়াদে ইটালি থেকে ৭.৫% ও তুরস্ক থেকে ১২% অস্ত্র আমদানি করেছে।
সিপরির গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৫-১৯ মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র রফতানিকার হলেও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে মার্কিন অস্ত্র আমদানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে। এই মেয়াদে পাকিস্তানে মার্কিন অস্ত্র আমদানি কমেছে ৯২%, ভারতে ৫১%। ২০১০-১৪ মেয়াদে পাকিস্তানের আমদানি করা অস্ত্রের ৩০% ছিলো যুক্তরাষ্ট্রের। তা ২০১৫-১৯ মেয়াদে ৪.১%-এ নেমে এসেছে।
এদিকে গত পাঁচ বছরে বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ অস্ত্র রফতানিকারক ছিলো চীন। আর এই দেশ থেকেই পাকিস্তান সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আমদানি করে। ২০১৫-১৯ মেয়াদে চীন যত অস্ত্র রফতানি করেছে তার ৩৫% করেছে পাকিস্তানে। ২০১০-১৪ মেয়াদে যেখানে চীন থেকে পাকিস্তান তার ৫১% অস্ত্র আমদানি করে সেখানে এর পরিমাণ বেড়ে ২০১৫-১৯ মেয়াদে দাঁড়ায় ৭৩%। পাকিস্তান এছাড়া ইউরোপ ও তুরস্ক থেকে অস্ত্র আমদানি করছে।
সুইডিশ গবেষণা সংস্থাটি ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সংক্ষিপ্ত বিমানযুদ্ধের একটি বিশ্লেষণও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, পাকিস্তান রাশিয়ার ইঞ্জিনযুক্ত চীনের তৈরি জঙ্গিবিমান ব্যবহার করেছে। এই জঙ্গিবিমানকে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি জঙ্গিবিমান। পাশাপাশি সুইডেনের তৈরি এয়ারবোর্ন আলি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল এয়ারক্রাফট ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যদিকে ভারত ব্যবহার করেছে ফ্রান্স ও রাশিয়ার তৈরি জঙ্গিবিমান, ইসরাইলের তৈরি গাইডেড বোমা, সুইডেনের কামান এবং রাশিয়ার ইঞ্জিন।
সিপরি জানায়, ২০১০-১৪ থেকে ২০১৫-১৯ মেয়াদের মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের অস্ত্র আমদানি কমেছে যথাক্রমে ৩২% ও ৩৯%। দুই দেশই তাদের নিজস্ব অস্ত্র তৈরির জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এরপও তারা মূলত আমদানিকৃত অস্ত্রের উপর নির্ভরশীল। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।