Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে হাম-রুবেলা টিকা দেওয়া হবে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০২০, ৯:৫১ পিএম

২০২০ সালের মধ্যে হাম-রুবেলা ভাইরাসের সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ইউনিসেফ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে ৩ সপ্তাহব্যাপী ক্যাম্পেইন শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী ১৮ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইনের আওতায় ৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে এমআর (হাম-রুবেলা) টিকা দেওয়া হবে। মঙ্গলবার (১০ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় ক্যাম্পেইনের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

ইউনিসেফ জানায়, ৯ মাস থেকে ১০ বছরের কম বয়সী প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে এমআর টিকা দেওয়া হবে। এদের মধ্যে ৯ মাস থেকে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুর সংখ্যা ১ কোটি ৫৬ লাখ এবং ৫ বছর থেকে ১০ বছরের কম বয়সী শিশুর সংখ্যা ১ কোটি ৮২ লাখ।

ক্যাম্পেইনের বিস্তারিত তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ইপিআই) ডা. মওলা বকশ চৌধুরী। তিনি বলেন, এই ক্যাম্পেইন জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বড় ধরনের উদ্যোগগুলোর একটি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে টিকাদান কার্যক্রমের পাশাপাশি কমিউনিটির বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত ও অতিরিক্ত বিস্তৃত কর্মসূচির মাধ্যমে এমআর টিকা দেওয়া হবে। এই ক্যাম্পেইনের অতিরিক্ত এমআর টিকার ডোজ দ্রুত হাম ও রুবেলার বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে এবং কমিউনিটিতে হাম ও রুবেলার বিস্তার কমাবে। এটি হাম ও রুবেলা নির্মূলের অবস্থা অর্জনে, দেশে হামে মৃত্যুহার হ্রাসে এবং জন্মগত রুবেলা সিনড্রোমের (সিআরএস) কারণে শিশুদের মধ্যে শারীরিক অক্ষমতা হ্রাসের ক্ষেত্রে হবে একটি বড় পদক্ষেপ।

এই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, হাম ও রুবেলা ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত কমিয়ে আনার জন্য সব শিশুকে এক ডোজ এমআর টিকা দেওয়ার মাধ্যমে টিকাদান কর্মসূচিতে বাদ পড়া ও টিকা না নেওয়া সব শিশুকে চিহ্নিত করা এবং নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ ডোজ এমআর টিকাদান সম্পন্ন করা ও তাদের টিকা না নেওয়ার কারণ বের করা এই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য।

ডা. মওলা আরও জানান, ক্যাম্পেইনের প্রথম সপ্তাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে কমিউনিটিগুলোতে টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ও জনগোষ্ঠীকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনতে নিয়মিত কেন্দ্রগুলোর পাশাপাশি অতিরিক্ত ও স্থায়ী কেন্দ্রে এবং দুর্গম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে বিশেষ ব্যবস্থায় এমআর টিকা দেওয়া হবে।

ইউনিসেফ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মেরিনা অধিকার এক প্রশ্নের জবাবে জানান, এই এমআর টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমোদিত। এগুলো ভারত থেকে আনা হয়েছে। এই ক্যাম্পেইনে খরচ হবে ৪২ মিলিয়ন ডলার, এর অর্ধেকের বেশি দিচ্ছে সরকার। সরকারি ছুটি এবং শুক্রবার বাদে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এমআর টিকা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এসময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর ডা. মোহাম্মদ শামসুল হকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বাস্থ্য


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ