পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে প্রেসিডেন্ট মো: আবদুল হামিদকে স্মারকলিপি প্রদান করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা। গতকাল রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে ঢাবি ভিসি প্রফেসর ড. মো: আখতারুজ্জামানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও প্রেসিডেন্টকে এই স্মারকলিপি দেয়া হয়।
ছাত্রদলের স্মারকলিপিতে বলা হয়, বেগম খালেদা জিয়া সরকারের দায়ের করা ‘মিথ্যা’ মামলায় গত দু’বছর যাবৎ কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে রয়েছেন। তার শরীরের অবস্থা অনেকটাই নাজুক। তার সাথে সাক্ষাৎ শেষে পরিবারের সদস্যরা গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়া সবদিক বিবেচেনায় জামিন পাওয়ার যোগ্য হলেও সরকারের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে জামিন দেয়া হচ্ছে না। এ অবস্থায় যেকোনো সময় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছি আমরা।
নারীদের জন্য তার অবদানের কথা উল্লেখ করে এতে বলা হয়, খালেদা জিয়া স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নারী, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও নারী ক্ষমতায়নের অন্যতম অগ্রদুত। তার হাত ধরেই এদেশে প্রথম মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকাশ ঘটে। শিক্ষিত মা শিক্ষিত জাতী এই প্রতিপাদ্যে আলোকিত হয়ে তিনি সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মহিলা শিক্ষক নিয়োগে বিশেষ কোটার প্রবর্তন করেছিলেন। মেয়েদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষা প্রবর্তনও তার হাত ধরেই। বাংলাদেশের নারী অগ্রগতিতে রাখা অবদান এবং শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে তার নিঃশর্ত মুক্তির জন্য আপনার পদক্ষেপ কামনা করছি।
ঢাবি ছাত্রদলের আহবায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সদস্য সচিব মো. আমানউল্লাহ আমানের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ঢাবি ছাত্রদল নেত্রী মানসুরা আলমসহ নেতাকর্মীরা।
স্মারকলিপির বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আমানউল্লাহ আমান জানান, ঢাবি ভিসি স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে এ ব্যাপারে তিনি কথা বলবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।