গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী-পুরুষ সমতার ভিত্তিতে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২০ উদযাপিত হয়েছে। রোববার (৮ মার্চ) জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮টায় শোভাযাত্রা ও সকাল ১১টায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়ার নেতৃত্বে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে বের হওয়া বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশ প্রদক্ষিণ করে। সকাল ১১টায় বি ব্লকের শহীদ ডা. মিল্টন হলে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভা আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয় গান ও প্রামান্য চিত্র ‘আলোর পথযাত্রী’ প্রদর্শনের মাধ্যমে। আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কথা সাহিত্যিক, লেখক ও ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেন। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডা. কনক কান্তি বড়–য়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, প্রফেসর ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।
আলোচনা সভায় ‘বঙ্গবন্ধুর নারী উন্নয়ন ভাবনা’ নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত পরিচালক ডা. সাকী খন্দকার। ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৩ (স্বাস্থ্য) ও নারীর সম্পৃক্ততা’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. শিউলী চৌধুরী। ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৫ (জেন্ডার) ও নারীর অংশগ্রহণ’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারিহা হাসিন। অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডা. এম ইকবাল আর্সলান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু অনুষদের ডীন প্রফেসর ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামাল, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. এ বিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর প্রফেসর ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদসহ ডীন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, অফিস প্রধা, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা, নার্সরা উপস্থিত ছিলেন। এবারে দিবসটি প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘প্রজন্ম হোক সমতার, সকল নারীর অধিকার’।
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথা সাহিত্যিক, লেখক ও ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেন তাঁর বক্তব্যে মানব সভ্যতার ধারক ও বাহক হলো নারী উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে নারীর ভূমিকা যে অনস্বীকার্য বারংবার সেটি উঠে এসেছে।
সভাপতির প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেন, নারী পুরুষের সম অধিকার রক্ষার বিষয়টি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে সুনিশ্চিত করে গেছেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের নারী সমাজ দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছেন। কোনো কোনো বিষয়ে নারীরা তাঁদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে পুরুষের চাইতেও এগিয়ে গেছেন। তবে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সকল ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ সমতার ভিত্তিতে এগিয়ে যাওয়ার বিকল্প নাই।
‘বঙ্গবন্ধুর নারী উন্নয়ন ভাবনা’ শীর্ষক প্রবন্ধে বঙ্গবন্ধু নারী অধিকারের যে ভিত্তি স্থাপন করে গিয়েছেন এবং নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর সামাজিক অধিকার ও সম্মানের কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশের সংবিধান ও অন্যান্য সকল কর্মকা-ে যে অবদান রেখে গেছেন তা অত্যন্ত সুন্দরভাবে উঠে এসেছে।
‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৩ (স্বাস্থ্য) ও নারীর সম্পৃক্ততা’ বিষয়ক প্রবন্ধে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশের বিশ্বের সকলের সাথে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। শুধুমাত্র মাতৃমৃত্যু হ্রাসই নয়, সকল বয়সী নারীদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার মাধ্যমে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব এবং সেই লক্ষ্যে নারীস্বাস্থ্যের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরা হয়।
‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৫ (জেন্ডার) ও নারীর অংশগ্রহণ’ বিষয়ক প্রবন্ধে জেন্ডার সমতা অর্জনে বাংলাদেশের অনেক উন্নতি সাধন এবং শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। তবে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে যা সকলের সমান অংশগ্রহণের মাধ্যমেই মোকাবেলা করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকলেই অঙ্গীকার করেন যে, সকল ক্ষেত্রে নারীদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সর্বস্তরে সকলকে একসাথে এগিয়ে যেতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।