Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ওমিক্রনে আক্রান্ত চিকিৎসা নেয়া ৮২ শতাংশই

বিএসএমএমইউয়ের গবেষণা প্রতিবেদন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৩ এএম

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এক মাসে (৯ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রæয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসা নেওয়া ৮২ শতাংশই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। আর বাকি ১৮ শতাংশ রোগী ডেলটা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। বিএসএমএমইউয়ের এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি এক অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল হাসপাতালে যারা গেছেন তাদের ২০ শতাংশ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এবং ৮০ শতাংশ ডেলটা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। গতকাল বৃহস্পতিবার বিএসএমএমইউয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টির জেনোম সিকোয়েন্সিং রিসার্চ প্রজেক্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক (সুপারভাইজার) ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এই তথ্য জানান।

বিসি জানান, গত ৯ জানুয়ারি থেকে এ মাসের ৯ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত সর্বমোট ভর্তি রোগী এবং বহির্বিভাগে আসা রোগীদের ৮২ শতাংশ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত এবং ১৮ শতাংশ ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত পেয়েছি। এই সময়ে ওমিক্রনের তিনটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। সেগুলো হলো ইঅ.১, ইঅ.১.১, ইঅ.২। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভাষ্যমতে ইঅ.২ বেশি সংক্রামক।

তিনি জানান, ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে অনেক বেশি সংক্রামক। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের জেনোমে ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি মিউটেশন পাওয়া গেছে, যার বেশির ভাগ ভাইরাসটির স্পাইক প্রোটিনে হয়েছে। এই স্পাইক প্রোটিনের ওপর ভিত্তি করে বেশির ভাগ ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়ে থাকে। আর স্পাইক প্রোটিনের গঠনগত বদলের জন্যই প্রচলিত ভ্যাকসিনেশনের পরেও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ও অ্যানাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানু বলেন, আন্তর্জাতিক সিকোয়েন্সিং ডাটাবেজ জিন ব্যাঙ্কে বিএমএমইউয়ের ৯৩৭টি ভাইরাল জেনোম জমা দেওয়া হয়েছে। জেনোমিক ডাটাবেজে বিএসএমএমইউ-এর এই গবেষণা ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক অবদানের একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।

বিএসএমএমইউ-এর গবেষণায় ৯ মাস থেকে শুরু করে ৯০ বছরের বয়স পর্যন্ত রোগী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এর মধ্যে বর্তমানে ৩০ থেকে ৫৯ বছর বয়সের রোগীদের সংখ্যা বেশি। শিশুদের মধ্যেও কোভিড সংক্রমণ পাওয়া গেছে। পুরুষ ও নারীদের আক্রান্তের হার প্রায় সম সংখ্যক; ৪৯% পুরুষ ৫১% নারী। কোভিড আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাদের কোÐমরবিডিটি রয়েছে, যেমন- ক্যান্সার, উচ্চরক্তচাপ, শ্বাস রোগ, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস তাদের রোগের প্রকটতা বেশি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএসএমএমইউ

৫ মার্চ, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ