পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর ঢাকা-উত্তরা ক্লাবসহ দেশের অভিজাত ১৩টি ক্লাবে জুয়া খেলা অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। তবে, আপিল নিষ্পত্তি না হাওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ক্লাবগুলোতে অভিযান চালাতে পারবে না-মর্মে আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে টাকা ছাড়া তাস খেলায় বাধা দেয়া যাবে না বলেও আদেশ দেয়া হয়েছে।
ক্লাবগুলোর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগীয় বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে গতকাল ক্লাবগুলোর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম আমির উল ইসলাম, ব্যারিস্টার তানিয়া আমির এবং ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ।
এর আগে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা অবৈধ ঘোষণা করে আদেশ দেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে ক্লাবগুলো।
প্রসঙ্গত : ২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর এ বিষয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। অভিজাত ১৩ ক্লাবের মধ্যে রয়েছে-ঢাকা ক্লাব, উত্তরা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, ঢাকা লেডিস ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব গুলশান, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়র্স ক্লাব, নারায়ণঞ্জ ক্লাব, খুলনা ক্লাব। ওই রুল জুয়া জাতীয় অবৈধ ইনডোর গেম যেমন- কার্ড, ডাইস ও হাউজি খেলা অথবা এমন কোনো খেলা যাতে টাকা বা অন্য কোনো বিনিময় হয়ে থাকে তা বন্ধের নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চান আদালত। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ। তিনি বলেন, ঢাকা মেট্টোপলিটনস পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৬, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৮ এবং পাবলিক গেম্বলিং অ্যাক্ট ১৮৬৭ অনুযায়ী কোনো প্রকার জুয়া খেলা দন্ডনীয় অপরাধ। সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারকে পতিতাবৃত্তি ও জুয়া খেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।