Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

আজ শেষ হচ্ছে সিদ্দিকুরের অপেক্ষার পালা

প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : ব্রাজিলে আসন্ন রিও অলিম্পিক গেমসে খেলার ছাড়পত্র পেতে আজ শেষ হচ্ছে বাংলাদেশের কৃতী গলফার সিদ্দিকুর রহমানের অপেক্ষার পালা। আর কয়েক ঘণ্টা পরই জানা যাবে তিনি রিও অলিম্পিকে খেলতে পারবেন কি না। যদি সিদ্দিকুর বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া আসরে খেলার সুযোগ পান, তাহলে তিনিই হবেন প্রথম বাংলাদেশী যিনি ওয়াইল্ড কার্ড পেয়ে নয়, নিজ যোগ্যতায় সরাসরি অলিম্পিকে খেলার অনন্য রেকর্ড গড়বেন। রিও অলিম্পিকে খেলার ছাড়পত্র ইতোমধ্যে পেয়েছে বাংলাদেশের শুটিং, আরচ্যারি ও সাঁতারের ক্রীড়াবিদরা। এখন অপেক্ষা গলফ, অ্যাথলেটিকস, বক্সিং ও ভারোত্তোলনের ক্রীড়াবিদদের। আজ গলফের অপেক্ষার পালা শেষ হলেও ঝুলে থাকবে অ্যাথলেটিকস, বক্সিং ও ভারোত্তোলনের। এই তিনি ডিসিপ্লিনের ক্রীড়াবিদদের আরও কিছুদিন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার জন্য।
ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে আগামী ৫ আগস্ট বসছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রীড়াযজ্ঞ অলিম্পিক গেমসের এবারের আসর। শত বছরেরও বেশি পুরোনো এই ক্রীড়া আসরে বিশ্বের সেরা অ্যাথলেটরা প্রতীক্ষায় থাকেন নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করে পদক জিততে। তারা যোগ্যতার মাপকাঠিতেই অলিম্পিকে অংশ নিয়ে থাকেন। আর ক্রীড়ায় অনগ্রসর দেশগুলোর সম্ভাবনাময় ক্রীড়াবিদরা ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার মাধ্যমে এই আসরে অংশ নেন। বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের বিশ্ব সংস্থার মাধ্যমে ক্রীড়ায় অনগ্রসর দেশগুলোর মধ্য থেকে সম্ভাবনাময় ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত করে তাদেরকে অলিম্পিকে খেলার সুযোগ করে দেয়ার জন্যই ওয়াইল্ড কার্ডের প্রচলন করে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ক্রীড়াবিদরা অপেক্ষায় থাকেন সেই ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার আশায়। এটা অনেকটা অলিম্পিক কর্তৃপক্ষের দানের মতোই। ওয়াইল্ড কার্ড পেয়ে ইতোমধ্যে রিও অলিম্পিকে যাওয়া নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের কৃতী শুটার আবদুল্লাহ হেল বাকী, আরচ্যার শ্যামলী রায় এবং সাঁতারু মাহফিজুর রহমান সাগর ও সোনিয়া আক্তার টুম্পা।
তবে দেশসেরা গলফার সিদ্দিকুর রহমানের বিষয়টি একটু ভিন্ন। কারণ ওয়াইল্ড কার্ড পেয়ে নয়, নিজ যোগ্যতায় সরাসরি অলিম্পিকে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল তার। তাইওয়ানে ৫৯তম স্থানে থেকে খেলা শেষ করেছেন সিদ্দিকুর। আজ তাঁর অলিম্পিক র‌্যাংকিং ৬০ এর মধ্যে থাকলে রিওতে সরাসরি খেলার সুযোগ পাবেন সিদ্দিকুর। বর্তমানে ৫৯তম স্থানে থেকে রিও অলিম্পিকে খেলার ব্যাপারে এখনো আশাবাদী তিনি। এ প্রসঙ্গে সিদ্দিকুরের কথা, ‘১১ জুলাই পর্যন্ত এই অবস্থানে থাকলে অলিম্পিকে খেলা নিশ্চিত আমার।’
গলফেরটা আজ নিশ্চিত হলেও ওয়াইল্ড কার্ডের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশের ভারোত্তোলন, অ্যাথলেটিকস ও বক্সিং ডিসিপ্লিনকে। জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে এদের ওয়াইল্ড কার্ড নিশ্চিত হবে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) কাছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মাধ্যমে পড়া দরখাস্ত গুলোর ভাগ্য ঝুলে রয়েছে এখনো। বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশন নাম জমা দিয়েছে দ্রæততম মানব-মানবী মেজবাহ আহমেদ ও শিরিন আক্তারের। বক্সিং ফেডারেশন নাম জমা দিয়েছে আল আমিনের। তবে ওয়াইল্ড কার্ড চাওয়া মানেই পাওয়া নয়। এসএ গেমসে ভারোত্তোলনে সোনাজয়ী মাবিয়া আক্তার সীমান্তর সম্ভাবনা এমনিতেই কম ছিল। তাই তার ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার আশাও কম। কারণ বিশ্বজুড়ে উন্নয়নশীল ১০ দেশকে তারা ওয়াইল্ড কার্ড দেবে। যদিও সেই ১০টির বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৫১টি। এসএ গেমসে দুটি স্বর্ণপদক জিতেও দেশের কৃতী মহিলা সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলার অলিম্পিক-স্বপ্ন অপূর্ণই থাকছে। জানা গেছে, এসএ গেমসকে আন্তর্জাতিক রেটিংয়ে সেভাবে মূল্যায়ন করে না বিশ্ব অলিম্পিক কমিটি। এশিয়ান, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ, বিশ্বকাপের মতো বড় প্রতিযোগিতার পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে অলিম্পিক রেটিং বিবেচ্য হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আজ শেষ হচ্ছে সিদ্দিকুরের অপেক্ষার পালা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ