গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাÐে অস্ত্র সরবরাহকারী এহতেশামুল হক ভোলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। শুনানি শেষে গতকাল (রোববার) মহানগর হাকিম আব্দুল কাদের তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, ভোলা ও তার সহযোগী মনিরকে বাকলিয়া থানার একটি অস্ত্র মামলায় জিজ্ঞাসবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৮ জুন এহতেশামুল হক ভোলা ওরফে ভোলাইয়া ও তার সহযোগী মনির হোসেনকে দুইটি অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতারের কথা জানায় পুলিশ। গ্রেফতারের পর অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় বাকলিয়া থানায় একটি অস্ত্র মামলা করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় পয়েন্ট ৩২ বোরের দেশী রিভলবার, ৭ দশমিক ৬৫ বোরের পিস্তলটি হত্যাকাÐে ব্যবহৃত হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। ভোলাকে মিতু হত্যা ও অস্ত্র আইনে দুইটি মামলার আসামি করা হলেও মনিরকে অস্ত্র আইনে গ্রেফতার দেখানো হয়।
তার আগে গ্রেফতারকৃত খুনিচক্রের সন্দেহভাজন সদস্য ওয়াসিম ও আনোয়ার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে জানায়, মিতুকে খুনের আগের রাতে মূল হোতা আবু মুছার বাকলিয়ার বাসায় বৈঠক হয়। সেখানে হত্যার ছক তৈরি হয়। ওই বৈঠকে ভোলা হাজির ছিল। খুনের জন্য অস্ত্র সরবরাহ করে ভোলা। হত্যাকাÐ শেষে খুনিরা অস্ত্র দু’টি ফের ভোলার কাছে জমা দেয়। গ্রেফতারের পর ভোলাও বিষয়টি স্বীকার করে। তার দেখানো মতে পুলিশ তার সহযোগী মনিরের বাসা থেকে অস্ত্র দু’টি উদ্ধার করে। ওই দিন তাদের আদালতে হাজির করে ভোলা ও মনিরকে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত ঈদের পর শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
গত ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর জিইসি মোড়ের অদূরে ও আর নিজাম রোডে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে। এই মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করে। ২ জন পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ক্রসফায়ারে পড়ে মারা যায়। তবে মূল হোতা আবু মুছা কোথায় তা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের দাবি পুলিশ তাকে ২২ জুন ধরে নিয়ে গেছে। পুলিশ তা অস্বীকার করছে।
মূল হোতার হদিস নেই, দুই আসামি ক্রসফায়ারে মারা গেছে। এ অবস্থায় আলোচিত এই মামলার তদন্ত কোন দিকে তা নিয়ে নানা সংশয় দেখা দিয়েছে। সবার প্রশ্ন কোন পথে যাচ্ছে মিতু হত্যা মামলার তদন্ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।