পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
এশিয়ার মোবাইল টেলিযোগাযোগ শিল্পে অনবদ্য অবদানের জন্য আজিয়াটার দক্ষিণ এশিয়ার রিজিওনাল সিইও ও শ্রীলঙ্কার ডায়লগ আজিয়াটা পিএলসি’র গ্রæপ সিইও ড. হ্যানস বিজয়াসুরিয়াকে পুরস্কৃত করেছে জিএসএমএ। মোবাইল টেলিযোগাযোগ শিল্পের বৈশ্বিক সংগঠনটি এই প্রথমবারের মত পুরস্কারটি প্রদান করল। বাংলাদেশের মোবাইল ফোন অপারেটর রবি’র মূল কোম্পানি আজিয়াটা।
এশিয়ার অধিবাসী, ব্যবসা ও সমাজকে এগিয়ে নেয়ার জন্য ব্যক্তিগত, প্রাতিষ্ঠানিক বা সমন্বিত পর্যায়ে তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্যের স্বীকৃতি এই পুরস্কার।
সম্প্রতি সাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়া মোবাইল অ্যাওয়ার্ডসে জিএসএমএ’র ডিরেক্টর জেনারেল ম্যাটস গ্রানরিড বলেন, “অসাধারণ নেতৃত্ব এবং গত দুই দশক ধরে সৃজনশীল ধারণা দিয়ে জিএসএমএ’তে তার কোম্পানি যে অবদান রেখেছে এ পুরস্কার তারই স্বীকৃতি। গত ২২ বছর ধরে মোবাইল টেলিযোগাযোগ শিল্পে তার সম্পৃক্ততার স্বীকৃতি এই পুরস্কার যার মধ্যে ১৯ বছরই মোবাইল নেটওয়ার্ককে এগিয়ে নেয়ার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি চালুর ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। জিএসএমএ’র এশিয়া প্যাসিফিক ইন্টারেস্ট গ্রæপের চেয়ার হিসেবে জিএসএম প্রযুক্তি চালুর সময় সমকালীন সিইও’দের ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছেন ড. হ্যানস। তার নেতৃত্বে মোবাইল টেলিযোগাযোগ শিল্পের প্রথম সারির প্রতিযোগীদের সাথে লড়ে ৬টি বৈশ্বিক মোবাইল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে তার কোম্পানি। তিনি শ্রীলঙ্কার মোবাইল অবকাঠামোকে আঞ্চলিক ক্ষেত্রে নেতৃত্বস্থানীয় পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছেন এবং বৈশ্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন। দেশ ও পুরো অঞ্চলকে এগিয়ে নিতে তিনি জিএসএম প্রযুক্তি, শ্রীলঙ্কার মেধা ও আঞ্চলিক টেলিযোগাযোগ গ্রæপ আজিয়াটার উদ্যমের মাঝে সমন্বয় ঘটিয়েছেন।”
আজিয়াটার প্রেসিডেন্ট ও গ্রæপ সিইও তান শ্রী জামালুদ্দিন ইব্রাহিম বলেন, “এ পুরস্কার ড. বিজয়সুরিয়ারই প্রাপ্য। আজিয়াটা গ্রæপ ও টেলিযোগাযোগ শিল্পে তার অবদান অসামান্য। ক্রমাগত ডিজিটাল হওয়া এ বিশ্বে তার স্বপ্ন ও নেতৃত্ব শুধু শ্রীলঙ্কায়ই নয়, আজিয়াটা ব্যবসা পরিচালনা করে এমন অন্যান্য দেশগুলোতেও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও মেধার বিকাশে অনন্য অবদান রেখেছে। ডায়লগ’র বেশ কয়েকটি উদ্ভাবনী সেবা টেলিযোগোযোগ শিল্পে অনন্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। আমরা তার সাফল্যে গর্বিত এবং সামনের দিনগুলোতে তার উত্তরোত্তর অগ্রগতি কামনা করছি।”
ড. বিজয়সুরিয়া তিনি তার এ অর্জনকে ডায়লগ’র কর্মীদের প্রতি উৎসর্গ করে বলেন, “ডায়লগ টিম বিশ্বের কোন অগ্রসর কর্মীদের চেয়ে পিছিয়ে নেই এবং এ অর্জনের পেছনে রয়েছে সম্মানিত গ্রাহক ও অংশীদারদের অবদান। এছাড়া তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশে অনুকূল নীতি গ্রহণের জন্য শ্রীলঙ্কার সরকারের প্রতি এবং দেশটিতে টেলিযোগাযোগ শিল্পের বিকাশের জন্য গত দুই দশক ধরে বিনিয়োগের জন্য আজিয়াটার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। এসব কিছুর সমন্বয়েই ডায়লগ আঞ্চলিক টেলিযোগাযোগে শীর্ষ স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।”
এশিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আজিয়াটা ব্যবসা পরিচালনা করে এমন সব দেশেই দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে আগ্রহী। যেসব দেশে আজিয়াটা ব্যবসা পরিচালনা করে সেসব দেশের অগ্রগতিতে অবদানের জন্য ইতোমধ্যে কোম্পানিটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। ২০১৫ সালে তান শ্রী জামালুদ্দিন ইব্রাহিম জিএসএমএ’র চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন যা বিশ্বের মোবাইল টেলিযোগাযোগ শিল্পের অগ্রগতিতে তার অবদানেরই স্বীকৃতি।
আজিয়াটা সম্পর্কে:
এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি হিসাবে আজিয়াটা গ্রæপ ১০টি দেশে ২৯০ মিলিয়ন গ্রাহককে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান করছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেশনে সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা, টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবা ও ডিজিটাল সেবা প্রদানের মাধ্যমে সেরা সংযোগ, প্রযুক্তি ও মানবসম্পদ কাজে লাগিয়ে এশিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে আজিয়াটা।
মালয়েশিয়ায় ‘সেলকম’, ইন্দোনেশিয়ায় ‘এক্সএল’, শ্রীলঙ্কায় ‘ডায়ালগ’, বাংলাদেশে ‘রবি’, ক্যাম্বোডিয়ায় ‘স্মার্ট’, নেপালে এনসেল এবং কৌশলগত অংশীদার হিসাবে ভারতে ‘আইডিয়া’ ও সিঙ্গাপুরে ‘এম ওয়ান’ নামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে আজিয়াটা।
‘ইডটকো’ নামে গ্রæপের একটি টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো কোম্পানি রয়েছে যা ৬টি দেশে পরিচালিত হচ্ছে এবং যার আওতায় রয়েছে ১৬ হাজার টাওয়ার ও ১২ হাজার কিলোমিটার ফাইবার অপটিক। এর লক্ষ্য এ অঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ টাওয়ার কোম্পানি হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া এবং দায়িত্বশীল ও টেকসই ব্যবসায়িক কার্যক্রমে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ থাকা। ইন্টারনেট-ভিত্তিক ব্যবসার প্রসারে আজিয়াটা ডিজিটাল সার্ভিসেস (এডিএস) ২৪টি ডিজিটাল ব্র্যান্ড চালু করেছে যার মধ্যে রয়েছে মোবাইল মানি, মোবাইল বিজ্ঞাপন, ই-কমার্স, বিনোদন ও শিক্ষা।
প্রতিশ্রæতিশীল ও দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারী হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ২৫ হাজার মানবসম্পদ নিয়োগ করেছে আজিয়াটা। অগ্রগতি ধরে রাখার লক্ষ্যে তরুণ মেধাবীদের উন্নয়নে পদক্ষেপ এবং দুর্যোগকালীন ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি পরিবেশ-বান্ধব কার্যক্রমের ওপর জোর দিচ্ছে আজিয়াটা।- প্রেস বিজ্ঞপ্তি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।