পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কিন্ত করোনাভাইরাসের আতঙ্কে হজযাত্রীদের মাঝে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে উৎসবের আমেজে ভাটা পরিলক্ষিত হচ্ছে। একাধিক হজ এজেন্সির মালিক জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের কারণে ওমরাযাত্রী নিষিদ্ধ হওয়ায় অনেক হজযাত্রীই হজের চূড়ান্ত নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে অনীহা প্রকাশ করছেন।
গতকাল সোমবার ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ শেখ মো. আব্দুল্লাহ তার দপ্তরে ইনকিলাবকে বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সউদী সরকার বিশ্বের সকল ওমরাযাত্রীদের সউদী আরবে প্রবেশে সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বিশ্বের সকল মানুষকে করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য মহান আল্লাহর সাহায্য কামনা করেন। তিনি আগামী হজ মৌসুমে মুসলিম উম্মাহর হজযাত্রা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে আল্লাহপাকের সাহায্য কামনার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
করোনাভাইরাস জনিত কারণে চলতি বছর হজ কার্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজের এখনো অনেকটা সময় বাকি। এসময়ে প্রভাব পড়বে কী পড়বে না তা নিয়ে মন্তব্য করাটা উচিত নয়। তিনি বলেন, আমার দৃঢ.বিশ্বাস মহান রাব্বুল আলামীন করোনাভাইরাস নামক গজব থেকে আল্লাহর মেহমানসহ আমাদেরকে রক্ষা করবেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবের কারণে সউদী রাজকীয় সরকার ওমরাযাত্রীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এ ক্ষেত্রে ওমরাযাত্রী অথবা সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোর কোনো অপরাধ নেই। তাই আইবিএন এর মাধ্যমে ওমরাযাত্রীদের সউদীতে পাঠানো খরচের টাকা এবং এয়ারলাইন্সগুলোর টিকিটের টাকা অবশ্যই ফেরত পাবেন।
রোববার থেকে সরকারি এবং গতকাল সোমবার থেকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের চূড়ান্ত নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে। প্রাক নিবন্ধনের ৬ লাখ ১৮ হাজার ২৫৯ ক্রমিক পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে। এবার চীনসহ বিশ্বের ৫৮ টি দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে ধর্ম মন্ত্রণালয়, হজ এজেন্সির অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) ও হজযাত্রীদের মধ্যে এক ধরনের অজানা ভয় আতঙ্ক ও শঙ্কা রয়েছে। মুসাফির ট্রাভেলসের হজযাত্রী ঝালকাঠির হাফেজ মো. ফেরদৌস আলম ও মঠবাড়িয়ার হারুনুর রশিদ জানান, করোনাভাইরাসের আতঙ্কে ২০ জন হজযাত্রী নিবন্ধনের জন্য টাকা দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, হজযাত্রীদের প্রথম দিতে সার্ভারে কিছুটা ঝামেলা হলেও আজ থেকে তা’থাকবে না। তিনি বলেন, পাসপোর্ট সঙ্কটের দরুণ হজযাত্রী নিবন্ধন কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। তিনি সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার জন্য ই-পাসপোর্ট জমা না দেয়ার পরামর্শ দেন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সউদী সরকার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভিজিট ভিসা ও ওমরাহ হজ পালন করতে সউদী আরব গমন সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩০ জুলাই পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ে হজ এজেন্সিগুলোকে ১০ লাখ টাকার স্থলে জামানতের টাকা ২০ লাখ টাকা জমা দিতে নিদের্শনা জারি করায় প্রায় ১৮০টি হজ এজেন্সি এখনো বর্ধিত অর্থ জমা দিতে পারেনি। ফলে এসব এজেন্সিগুলোর শত শত হজযাত্রীর নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। এতে হজযাত্রীরা চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন।
সউদ বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক হজ চুক্তি অনুযায়ী এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী হজ পালনের জন্য সউদী আরব যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার হজযাত্রী হজে যাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।