গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া যথাযথ জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে দক্ষ চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলে দরদী মন নিয়ে রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সবচাইতে বড় সম্পদ হলো জ্ঞান। এই জ্ঞান অর্জনের দিকে সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে জাতির জনকের নামে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে চিকিৎসাসেবা, চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় বিশ্বমানে নিয়ে যেতে হবে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে আসা রোগীদেরকে দরদী মন নিয়ে যথাযথ চিকিৎসা সেবা প্রদানের মাধ্যমে তাঁদের সুস্থ করে তুলে রোগীদের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী গবেষণার প্রতিও গুরুত্ব দিতে হবে।
রোববার (১ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ)’র এ ব্লকের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সমগ্র দেশের মেডিক্যাল শিক্ষায় উচ্চতর ডিগ্রি অর্জণের অভিপ্রায়ে মার্চ ২০২০ সেশনে ভর্তিকৃত রেসিডেন্সি কোর্সের শিক্ষার্থীদের (ইনডাকশন প্রোগ্রাম) বরণ ও পরিচিতি অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে ভিসি এসব কথা বলেন। ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া রেসিডেন্ট শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করান। গুরুত্বপূর্ণ এই ইনডাকশন প্রোগ্রামে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, প্রফেসর ডা. সাহানা আখতার রহমান, প্রফেসর ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমানসহ সকল ডীন, কোর্স ডাইরেক্টর, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের প্রধানরা, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, বিদেশী ছাত্রছাত্রী, সারা দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের সহ¯্রাধিক মেডিক্যাল শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান।
ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘বাবারা একটু লেখাপড়া শিখ। যতই জিন্দাবাদ, মুর্দাবাদ কর, ঠিকমত লেখাপড়া না শিখলে কোনো লাভ নাই।’ মুজিব শতবর্ষে তোমার জাতির জনকের এই বাণীকে স্মরণে রেখে নিজেকে গড়ে তুলবে। জাতির জনকের জন্যই আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমি ভিসি হয়েছি। তোমরা এখানে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পেয়েছো। আমরা চাই, তোমরা লিজেন্ডারি প্রফেসর হবে। স্বপ্ন দেখবে, ভেঙে না পড়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। আমেরিকাতে চারটি বিভাগে প্রথম রেসিডেন্সী কোর্স চালু হয়েছিলো। আজ তা বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত লাভ করেছে। তোমারা নিজেকে বিশ্বমানের চিকিৎসক হিসেবে গড়ে তুলবে সেটা আমি বিশ্বাস করি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন কোর্স ফি হ্রাস করেছে, রেসিডেন্টদের ভাতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে এবং আবাসিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছে। সারা দেশের উচ্চতর মেডিক্যাল শিক্ষার আরো উন্নয়ন ও প্রসারে বর্তমান প্রশাসন নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অন্য বক্তারা বলেন, চিকিৎসা শিক্ষায় রেসিডেন্ট শিক্ষার্থীরা হলো মেধাবীদের মধ্যে আরো মেধাবী। তাঁদেরকে ভালো মানুষ ও দক্ষ চিকিৎসক হতে হবে। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। রেসিডেন্ট শিক্ষার্থীদের উপরই নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যতের উন্নত ও আধুনিক চিকিৎসা সেবা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের নিশ্চয়তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।