Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

শ্রমিক সঙ্কটে চলনবিলের বোরো আবাদ

চাটমোহর (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলের কৃষকরা শীত উপেক্ষা করে বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কয়েক দিনের ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে বোরো ধানের চারা রোপনে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। কোল্ড ইনজুরিতে বোরো বীজতলা নষ্ট হয়েছে। এরপর এখন পুরোদমে শুরু হয়েছে বোরো আবাদ।
জমি তৈরিতে পানি সেচ আর হালচাষ করে দিনভর ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। তবে কৃষি শ্রমিক সঙ্কটের কারণে শঙ্কিত কৃষক। কৃষি বিভাগের কর্মীরা বোরো আবাদে চাষিদের নানাভাবে পরামর্শ ও সহযোগিতা করছেন।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ বলেন, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৯ হাজার ৭শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার ৬শ’ ৫০ মেট্রিকটন। গত বছরে এ উপজেলায় ৮ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। রোপনকৃত জমির মধ্যে উন্নত ফলনশীল উফশী ও হাইব্রিড ধান রয়েছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শীতের কারণে বোরো আবাদ কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে ল্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আবাদ হবে।
চলনবিল অঞ্চলে এবার প্রায় ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কোল্ড ইনজুরির কারণে বীজতলা নষ্ট হওয়ায় বোরো চারার সঙ্কট দেখা দেয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা যদিও কৃষি বিভাগ বলছে, চারার কোনো সঙ্কট হবে না। সুতা টেনে চারা রোপনের কৌশল শিখিয়ে দিচ্ছেন।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ বলেন, সঠিক বয়সের চারা ১০ লাইন পর পর ১ লাইন ফাঁকা রেখে অর্থাৎ বাদ দিয়ে চারা রোপন করলে আলো, বাতাস পাওয়া যাবে, ইঁদুরের উপদ্রব কমবে। সঠিকভাবে পরিচর্যা করা যাবে। ফলন বাড়বে। এ পদ্ধতিকে বলা হয় ‘লোগো’।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শ্রমিক

৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২৮ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ