Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পোড়া বাড়ি-ঘরে তল্লাশি, গ্রেফতার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

চলতি সপ্তাহে ভয়ংকর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ছারখার হয়ে যাওয়া দিল্লির মহল্লাগুলোতে শুক্রবার চিরুনি অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় আরো এক ডজনের বেশি লোককে। রক্তপাতের জন্য কে দায়ী সেই বিতর্ক তীব্র হয়ে ওঠার মধ্যে এই গ্রেফতার অভিযান চলছে। দাঙ্গাকবলিত এলাকা থেকে বেশিরভাগ মুসলমান পালিয়ে গেলেও সেখানে আগুনে পোড়া বাড়ি ঘরের মধ্যে কিছু সন্দেহভাজন লুকিয়ে থাকতে পারে এমন অযুহাতে ঘরে ঘরে তল্লাশি করছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত পুলিশের তদন্তে নজর শুধু তাহির হোসেনের মতো মুসলিম নেতা ও বিরোধী দলগুলোর উপর। তাহির হোসেন দিল্লি নগরীর একজন কাউন্সিলর ও একটি প্রগতিশীল দলের নেতা। পুলিশ তাকে একটি খুনের জন্য সন্দেহ করছে এবং দাবি করছে যে তার বাড়ির ছাদে এক ঝুড়ি মলোটভ ককটেল পাওয়া গেছে। হোসেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন যে রাজনৈতিক নিপীড়নের অংশ হিসেবে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ না করায় পুলিশের বিরুদ্ধে সমালোচনা তীব্র হয়ে উঠেছে। তাদের বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে মুসলিম বিরোধী উষ্কানীম‚লক বক্তব্য দিয়ে দাঙ্গা বাধানোর অভিযোগ রয়েছে। দিল্লির দাঙ্গায় এ পর্যন্ত ৪২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মী যোগেন্দ্র যাদব বলেন, এটা সুষ্পষ্ট বৈষম্য। যারা প্রকাশ্যে উষ্কানি দিয়ে সহিংসতায় লিপ্ত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে না। কিন্তু যারা বিক্ষোভ করেছে তাদের বিরুদ্ধেই নিয়মতান্ত্রিকভাবে জঘন্য অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হচ্ছে। আরেকটি বিতর্কিত বিষয় হলো দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরালিধরের বদলির বিষয়টি। তিনি দিল্লি পুলিশের কর্মকান্ডের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। যেদিন পুলিশের বিরুদ্ধে একটি মামলার শুনানিকালে মুরালিধর কিছু কঠোর প্রশ্ন করেন সেদিন রাতেই তাকে আরেকটি রাজ্যে বদলী করা হয়। সমালোচকরা বলছেন সরকারকে রক্ষা করার জন্য এ কাজ করা হয়েছে। আইনজীবীরা বলছেন এ ধরনের বদলী খুবই অস্বাভাবিক। কিন্তু বদলীর আগে একজন বিচারককে অন্তত দুই সপ্তাহ সময় দেয়া হয় ফাইলপত্র গুছিয়ে নেয়ার জন্য। গত রোববার থেকে দিল্লির পূর্ব কোনে শ্রমিক-শ্রেনী অধ্যুষিত কয়েকটি মহল্লায় হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে দাঙ্গা বাঁধে। অনেক মুসলমান অভিযোগ করেন যে পুলিশ হিন্দু গুন্ডারদের তাদের উপর লেলিয়ে দিয়েছে। দাঙ্গায় নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এদের বেশিরভাগ মুসলমান। বেশিরভাগ নিহত হয়েছে গুলিতে। মুসলমানদের সম্পত্তিই মূলত ধ্বংস করা হয়েছে। ৪৮ ঘন্টার দাঙ্গাকালে অন্তত ৪টি মসজিদ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পাঁচ শতাধিক লোককে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২০০ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস, এসএএম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পোড়া বাড়ি-ঘর
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ