মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী (সিএএ) আইনকে কেন্দ্র করে দাঙ্গা-সহিংসতায় দেশটির রাজধানী দিল্লিতে প্রায় অর্ধশতর মতো নিহত হয়েছে। এছাড়াও নিখোঁজ রয়েছে অনেক। দেশটির উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সহিংসতায় অনেক পরিবার তাদের নিখোঁজ সদস্যের খোঁজ করছেন। বেশিরভাগই হাসপাতালে খোঁজে দেখেছেন। আশঙ্কা করছিলেন তাদের প্রিয়জনকে হয়ত জরুরি বিভাগ বা মর্গে দেখতে পাবেন। কিন্তু তা হয়নি।
মুস্তাফাবাদে নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন গাজিয়াবাদের এক কলেজ শিক্ষার্থী। যিনি পরীক্ষা দিতে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরেননি। মানসি গুপ্তার স্বজনরা তার ছবি হোয়াটসঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করে সন্ধান চেয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনও ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি।
২০ বছরের ওই শিক্ষার্থীর চাচা বিপিন গোয়াল জানান, পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ। তিনি বলেন, সোমবার আমার ভাতিজি শ্যামলাল কলেজে পরীক্ষা দিতে আসে। সে খোড়াতে থাকে কিন্তু তার বোন থাকে শিব বিহারে। সোমবার সে মুস্তাফাবাদে নানাকে দেখতে চেয়েছিল। কিন্তু সেখানে সে পৌঁছায়নি। শুরুতে মনে করেছিলাম হয়ত সে নানাকে দেখতে যায়নি। কিন্তু এরপর থেকে তার খোঁজ পাচ্ছি না।
নিখোঁজের পরিবারের সদস্যরা জানান, দ্রুতই তারা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। কিন্তু তারাও খুব বেশি কিছু করতে পারেনি। গোয়াল বলেন, গোকুলপুরি পুলিশ স্টেশনে আমরা যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কারফিউয়ের জন্য যেতে পারিনি। শেষ পর্যন্ত আমরা গাজিয়াবাদে যাই।
স্বজনরা জানান, ওইদিন থেকে বারবার মানসির ফোনে কল করা হচ্ছে কিন্তু তা বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
মুস্তাফাবাদের ২৫ ফোটা রোডের বিক্রেতা হামজা গিয়াসুদ্দিন আনসারি (২৫) বুধবার থেকে নিখোঁজ। তার এক আত্মীয় আনসারি আরিফ বলেন, আমার শ্যালক ও আমি সন্ধ্যায় নামাজ পড়তে যাই। পরে এক বন্ধুর দোকানে গিয়ে বসি। কিছু কাজের জন্য আমি বাসায় চলে আসি। কিন্তু আনসারি আর আসেনি। আমরা গোকুলপুরি থানায় গিয়েছিলাম, তারা আমাদের কথা শুনতেই চায়নি। আল হিন্দ হাসপাতালের জরুরি সেবায় ফোন করেছি কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি। অন্য হাসপাতালগুলোও খোঁজে দেখেছি, সেগুলোতেও পাওয়া যায়নি।
আনসারির পরিবারের আরেক সদস্য পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তারা আনসারির ছবি ও বিস্তারিত তথ্য দিয়ে একটি পোস্টার বানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কারও কাছ থেকে কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।