মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রিটেনের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে ভারতের সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্টের (সিএএ) প্রভাব নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। উচ্চকক্ষের সদস্যরা ব্রিটেন সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন, যাতে তারা ভারতকে তাদের উদ্বেগের বিষয়টি জানায় এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ভারতকে চাপ দেয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লন্ডনে হাউজ অব লর্ডসে সিএএ নিয়ে বিতর্ক হয়। বিষয়টি উত্থাপন করেন আর্ল অব স্যান্ডউইচ জন মন্টাগু। তিনি বৃটিশ সরকারের প্রতি আহবান জানান যাতে সিএএ এবং ভারতীয় সমাজে এর প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য সরকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চাপ দেয়। বিশেষ করে যেখানে এই আইন-বিরোধী বিক্ষোভ করতে গিয়ে সারা দেশে অনেকেই নিহত হয়েছে।
বৃটিশ সরকার জবাবে বলেছে যে, তারা পরিস্থিতির উপর ঘনিষ্ঠ নজর রাখছে কারণ এটা নিয়ে ‘ভারতে সুস্পষ্ট বিভাজন তৈরি হয়েছে’ এবং এর পূর্ণ প্রভাব কি হতে পারে, সেটি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের (এফসিও) পার্লামেন্টারি আন্ডার-সেক্রেটারি ব্যারোনেস লিজ সাগ বলেছেন, “আইনের বিরুদ্ধে সারা ভারতে বর্তমানে যে বিক্ষোভ চলছে, তাতে কোন সন্দেহ নেই যে, এই আইনটি বিভাজন সৃষ্টি করেছে। আমি জানি এ দেশের মানুষও বিষয়টি প্রবলভাবে অনুভব করছে, সেটা আজ এই হাউজের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো। আমাদের দিক থেকে বলতে পারি, এই আইনের প্রভাব নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের উদ্বেগ রয়েছে”।
তিনি বলেন, “এর পূর্ণ প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে, সেটা এখনও অস্পষ্ট। আমরা আশা করি এবং ভারত সরকারের প্রতি আস্থা রাখি যে, তারা এই উদ্বেগের বিষয়টি বিবেচনা করবে এবং ভারতের সংবিধান, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং তাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক ঐতিহ্যের ভিত্তিতে সকল ধর্মের মানুষের অধিকারকে তারা রক্ষা করবে”। তিনি আরও বলেন যে, সরকার ‘ঘটনাপ্রবাহের উপর আরও ঘনিষ্ট নজর রাখবে’ এবং যে কোন উদ্বেগের বিষয় ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার’ ভারতকে জানাবে।
আর্ল অব স্যান্ডউইচ এই বিতর্কের সূত্রপাত করেন। ভারতে যে সময় কাটিয়েছেন তিনি, সেটার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। যেহেতু ভারত আর যুক্তরাজ্যের মধ্যে জোরালো সম্পর্ক রয়েছে, তাই ব্রিটিশ নাগরিকদের উপর সিএএ’র কি প্রভাব পড়বে, সেটি পর্যালোচনারও আহবান জানান তিনি।
ভারতীয় বংশোদ্ভুত সদস্য লর্ড ইন্দ্রজিৎ সিং সতর্ক করে দিয়ে বলেন, নতুন আইনের ফলে মুসলিমদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে বৈষম্য করা হতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত অ-হিন্দু সকলেই এর শিকার হতে পারে। তিনি বলেন, “আমি আমাদের নিজেদের সরকারের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি যাতে তারা সরাসরি তৎপর হন, এবং কমনওয়েলথের মাধ্যমে এই ইতিবাচক জনমতকে যাতে ব্যাবহার করেন যাতে করে চমৎকার এই দেশটিতে সকলের জন্য সহিষ্ণুতা এবং শ্রদ্ধার বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়”। সত্র : পিটিআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।