মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুকে ‘প্রতিক্রিয়াশীল বর্ণবাদী’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের শীর্ষ প্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্স। সাউথ ক্যারোলাইনার প্রাইমারি নির্বাচনকে সামনে রেখে হওয়া প্রার্থীদের বিতর্কে তিনি এ কথা বলেন। শুধু তা-ই নয়। তিনি ইসরাইলস্থ মার্কিন দ‚তাবাস জেরুজালেম থেকে ফের তেল আবিবে স্থানান্তরের বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। নিজে ইহুদী হলেও, ইসরাইল বিষয়ে স্যান্ডার্সের ভিন্ন অবস্থানের বিষয়টি আরও একবার ফুটে উঠলো।
খবরে বলা হয়, বিতর্কে স্যান্ডার্সকে ইসরাইলের বিষয়ে তার অবস্থানের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বলেন, ‘ইহুদী হিসেবে আমি খুবই গর্বিত। আমি বেশ কয়েকমাস ইসরাইলে বসবাসও করেছি।
কিন্তু আমি যেটি বিশ্বাস করি এখন তা হলো, দুঃখজনক হলেও ইসরাইলে বিবি নেতানিয়াহু নামে এক প্রতিক্রিয়াশীল বর্ণবাদী রয়েছে, যে দেশটি চালাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ইসরাইলের স্বাধীনতা ও জনগণের নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে, কিন্তু ফিলিস্তিনি জনগণের যন্ত্রণার কথা অগ্রাহ্য করা যায় না। তিনি এ-ও ইঙ্গিত দেন যে, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইসরাইলস্থ মার্কিন দ‚তাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করলেও, তিনি ওই সিদ্ধান্ত পাল্টানোর বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন।
ট্রাম্প যখন তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে দ‚তাবাস স্থানান্তর করেছিলেন, এ নিয়ে ব্যপক আন্তর্জাতিক বিতর্ক দেখা দেয়। কেননা, জেরুজালেম নিয়ে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন উভয়েরই দাবি রয়েছে। কিন্তু দ‚তাবাস স্থানান্তরের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন এই বার্তা দিলো যে, জেরুজালেমই ইসরাইলের রাজধানী। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের জন্য পূর্ব জেরুলেমকে রাজধানী হিসেবে দাবি করে আসছে।
১৯৬৭ সালে জর্দানের কাছ থেকে পূর্ব জেরুজালেম দখলে নেয় ইসরাইল। এরপর ওই ভূখন্ড- ইসরাইলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু বিশ্বের গুটিকয়েক দেশ ছাড়া ওই সিদ্ধান্তকে কোনো দেশ স্বীকৃতি দেয়নি। এরপরও ট্রাম্প প্রশাসন দৃশ্যত ইসরাইলি দাবির প্রতিই সমর্থন ব্যক্ত করেছে।
এদিকে নেতানিয়াহুকে নিয়ে স্যান্ডার্সের করা মন্তব্যের জবাব খোদ নেতানিয়াহুই দিয়েছেন। তিনি অবশ্য সংযতভাবে জবাব দিয়ে বলেছেন, আমি মনে করি তিনি (স্যান্ডার্স) এখানে ভুল, অবশ্যই ভুল। তবে আমি মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। অপরদিকে ফের তেল আবিবে দূতাবাস স্থানান্তরের কথা বিবেচনা করবেন বলে স্যান্ডার্স যেই মন্তব্য করেছেন, তাকে ভয়ঙ্কর বলে আখ্যা দিয়েছেন ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাৎস। তিনি বলেন, ইসরাইলের পরিচয় ও জাতীয় নিরাপত্তাকে আঘাত করার ইতিহাস রয়েছে স্যান্ডার্সের। ফলে যারা ইসরাইলকে সমর্থন করে তারা তাকে সমর্থন দেবে না।
স্যান্ডার্স ইসরাইল নিয়ে এই মন্তব্য করার কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ইসরাইল-পন্থী লবি আইপ্যাক নিয়েও কড়া মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আইপ্যাক-এর বার্ষিক সম্মেলনে তিনি অতীতের মতো এবারও অংশগ্রহণ করবেন না। যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, আইপ্যাক সবসময়ই এমন নেতাদের স্থান দিয়েছে যারা বিদ্বেষ ছড়িয়েছে। তবে স্যান্ডার্সই একমাত্র নেতানিয়াহুকে বর্ণবাদী হিসেবে আখ্যা দেননি। আরেক সাবেক ডেমোক্রেট দলীয় আলোচিত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বেতো ও রৌর্কে গত বছরের এপ্রিলে নেতানিয়াহুকে বর্ণবাদী বলেছিলেন। তিনি বলেন, নেতানিয়াহু মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি অর্জনের পথে অন্তরায়। সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।