পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কম্বোডিয়া অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশন (আসিয়ান)-এ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের পক্ষে কথা বলবে বলে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছে। কলম্বিয়া ও মিয়ানমার উভয়েই আসিয়ান জোটের সদস্য।
বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধানে সহায়ক হবে বলেও আশা প্রকাশ করে পূর্ব এশিয়ার দেশটি। রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা মেঘনায় দুই দেশের মধ্যে প্রথমবারের মতো জয়েন্ট কমিশন (জেসি)’র বৈঠক চলাকালে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে বাংলাদেশ কম্বোডিয়ার সহায়তা চাইলে দেশটির পক্ষ থেকে এ আশ্বাস প্রদান করা হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন ইট সোফেয়া কম্বোডিয়ার ২৭ সদস্যের দলটির নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকে দুপক্ষের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, কৃষি ও মৎস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সংস্কৃতি, প্রতিরক্ষা, আইসিটি, পর্যটন এবং পার্লামেন্টারি বন্ধুত্বের মতো দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে বিষদ আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ উভয় দেশে যৌথভাবে মুজিব বর্ষ উদ্যাপনের জন্য কম্বোডিয়ার কাছে একটি তিন বছরের সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি (সিইপি) হস্তান্তর করে।
দুই দেশ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিএস) বাস্তবায়নে কৌশল বিনিময়ের উপর জোর দেয়। বৈঠকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও কম্বোডিয়ার টোউল স্লেং জেনোসাইড মিউজিয়ামের মধ্যে যৌথ সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে সর্বোত্তম তথ্য বিনিময়ের ব্যাপারে একমত হয়।
বৈঠকে উভয় পক্ষ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার উপর প্রস্তাবিত সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত হওয়াকেও স্বাগত জানিয়েছে। এর আওতায় দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দেশ দুটিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও স্বক্ষমতা বৃদ্ধ কর্মসূচিতে অংশ নেবে। বাংলাদেশ-কম্বোডিয়া পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের কাঠামোর আওতায় দুই দেশের পার্লামেন্ট সদস্যরা বিনিময় কর্মসূচিতেও অংশ নেয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। বৈঠকে ফরেন অফিস কনসালটেশনস প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে একটি সমঝোতা স্মারকে সাক্ষর হয়।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও কম্বোডিয়ায়ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. নাজমুল কাউনাইন এবং ভারতে কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত উং সিয়ানও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৪ সালে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের বাংলাদেশ সফরকালে ঢাকায় জয়েন্ট কমিমন (জেসি) কাঠামো প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়।
সূত্র: বাসস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।