পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কম্বোডিয়ায় উচ্চ বেতনে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি দেয়ার নাম করে তরুণ-তরুণীদের কাছ থেকে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা নেয়া হতো। কম্বোডিয়ায় যাওয়ার পর তাদের বিদেশি কোম্পানির কাছে দুই থেকে তিন হাজার ডলারে বিক্রি করা হতো। একটি চক্র বাংলাদেশ থেকে পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে বিভিন্ন সময় সাইবার ক্রীতদাস হিসেবে কম্বোডিয়ায় পাচার করে। এ চক্রের মূলহোতা নাজমুল ইসলামসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলো- নূর ইসলাম সাজ্জাদ (২৫) ও মো. সিরাজুল ইসলাম পঞ্চায়েত (৫৭)। তাদের কাছ থেকে তিনটি পাসপোর্ট, চারটি মোবাইলফোন, মানবপাচার সংক্রান্ত ২৫০ পাতার বিভিন্ন কাগজপত্র ও নগদ পাঁচ হাজার ১৬ টাকা উদ্ধার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা সংঘবদ্ধ মানবপাচার চক্রের সদস্য। চক্রের মূলহোতা কম্বোডিয়া প্রবাসী নাজমুল ইসলাম। তিনি বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে উচ্চ বেতনে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি দেয়ার নাম করে ভিকটিম এবং তাদের অভিভাবকদের প্রলুব্ধ করেন। এছাড়া দালালদের মাধ্যমেও শিক্ষিত, কম্পিউটার বিষয়ে পারদর্শী বেকার তরুণ-তরুণীদের প্রলুব্ধ করা হতো। কম্বোডিয়ায় পাঠানোর খরচ বাবদ প্রাথমিকভাবে তারা চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিতো। আগ্রহীদের প্রথমে কম্পিউটার বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হতো। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে কম্বোডিয়া প্রবাসী আলীম ও শরিফুলের সহায়তায় তাদের জন্য কম্বোডিয়ান ট্যুরিস্ট ই-ভিসা করা হয়। এরপর তাদের কম্বোডিয়ায় পাঠানো হয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, কম্বোডিয়ায় যাওয়ার পর গ্রেফতারকৃত নাজমুল তার সহযোগী কম্বোডিয়া প্রবাসী রাকিব ও রফিকের সহায়তায় প্রথমে ভুক্তভোগীদের কম্বোডিয়া প্রবাসী আরিফের হোটেলে নিয়ে যায়। পরে তাদের কাছ থেকে পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেয়া হয়। হোটেলে কিছুদিন অবস্থান করার পর তাদের কম্পিউটার বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য কম্বোডিয়া প্রবাসী কামাল ওরফে লায়ন কামাল ও আতিকের সহায়তায় একটি বিদেশি ট্রেনিং সংস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ট্রেনিং শেষে ভুক্তভোগীদের একটি বিদেশি কোম্পানির কাছে দুই হাজার থেকে তিন হাজার ডলারে বিক্রি করে দেয়া হয়। সেখানে তাদের একটি নির্দিষ্ট টার্গেট দেয়া হতো। কেউ টার্গেট সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হলে বা কাজ করতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগীরা নিরুপায় হয়ে নিজে মুক্তি পাওয়ার জন্য তার পরিচিত অপর বাংলাদেশিদের কম্বোডিয়ায় যেতে প্ররোচিত করে। কম্বোডিয়া প্রবাসী আলীম ও শরিফুল তাদের ই-ভিসার ব্যবস্থা করে কম্বোডিয়ায় নিয়ে ভুক্তভোগীদের একইভাবে সাইবার ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করে দেয়। এভাবে এ চক্র বাংলাদেশ থেকে পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে সাইবার ক্রীতদাস হিসেবে কম্বোডিয়ায় পাচার করেছে। ভুক্তভোগীরা দেশে ফিরে বাংলাদেশি দালালদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হলেও কম্বোডিয়া প্রবাসী দালালরা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।