নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : মাঠে নামার আগে পরিসংখ্যান হয়তো কোনো কাজে দেয় না। তা থাকে শুধু কাগজে-কলমে। মাঠের লড়াইয়ে যারা ভালো খেলে, তারাই হাসে শেষ হাসি। কিন্তু এটা ঠিক, মাঠে নামার আগে পরিসংখ্যান যদি ভালো থাকে, তাহলে বাড়তি উদ্দীপনা পেতেই পারে দলটি। আজ রাতে ইউরোর ফাইনাল, প্যারিসে। মুখোমুখি ফ্রান্স ও পর্তুগাল। ইতিহাস বলছে, ইউরোর ফাইনালে উঠলেই শিরোপা জেতে ফ্রান্স। রানার্সআপ হওয়ার রেকর্ড নেই তাদের। তবে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠা পর্তুগালের সঙ্গী প্রথম ফাইনালের রানার্সআপ দুঃখ। আয়োজক, সঙ্গে শিরোপা-ফ্রান্সের জন্য এমন আবহ বেশ মজারই। ইউরো ফুটবলে এখন পর্যন্ত দুইবার ফাইনাল খেলেছে ফ্রান্স, দুইবারই শিরোপা জিতেছে ফরাসি শিবির। ফাইনালে উঠে অন্তত হারতে হয়নি তাদের। আজ কী হবে?
১৯৮৪ সালে ইউরো ফুটবলের আয়োজক ছিল ফ্রান্স। সেবার ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলেই শিরোপা জিতে তারা। প্লাতিনি আর বেলোনের গোলে স্পেনকে হারিয়েছিল ফরাসি শিবির। এরপর ১৬ বছর পর ২০০০ সালে আবার ইউরোর ফাইনালে উঠে ফ্রান্স। যেবার আয়োজক ছিল যৌথভাবে বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডস। ফ্রান্স দলটি ছিল তখন ফর্মের তুঙ্গে। দুই বছর আগেই ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছে তারা। ফলে ইউরোর ফাইনালে জিনেদিন জিদানদের দাপটে ইতালিকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জেতে ফ্রান্স।
২০০০ সালের ফাইনালটা ছিল বেশ রোমাঞ্চকর। জিততে পারত ইতালি। কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল ফ্রান্সেরই। প্রথমার্ধ গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৫ মিনিটে ডেলভেচিওর গোলে এগিয়ে যায় ইতালি। জিতেই যাচ্ছিল আজ্জুরিরা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলাতেও এগিয়ে তারা। তবে অতিরিক্ত সময়ে উইলটোর্ডের গোলে ম্যাচে সমতা আনে ফ্রান্স। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটে। যেখানে সফল ফ্রান্স। ১০৩ মিনিটে ত্রেজেগুয়ের গোলে শিরোপা চুমু আঁকে জিদানরা। এরপর ইউরোতে আবারো লম্বা বিরতি। ফাইনাল দূরে থাক, পার হতে পারেনি সেমির চৌকাঠও। ঠিক ১৬ বছর পর আবার ফাইনাল। ১৯৮৪, ২০০০, এরপর ২০১৬। কী দারুণ মিল। ১৬ বছর পর পর দুই ফাইনাল। আগেরবার সফল হয়েছে ফ্রান্স। এবার হবেতো? সেমিফাইনালে অবশ্য ফ্রান্স ২-০ গোলে হারিয়ে এসেছে পরাশক্তি ও গেল বিশ্বকাপের শিরোপাধারী জার্মানিকে। ফাইনালে তাই রোনালদোর পর্তুগালের সামনে ফ্রান্সকেই ফেবারিট বলছে অনেকে। রোনালদোও বলেছেন তাই। কিন্তু জেতার প্রবল বাসনাও উল্লেখ করেছেন রিয়াল উইঙ্গার।
ইউরোতে ফাইনালে উঠা মানেই ফ্রান্সের শিরোপা। এমন সাদৃশ্য কিছুটা বিশ্বকাপের ক্ষেত্রেও। দুইবার ফাইনাল খেলা ফ্রান্স বিশ্বজয়ের মুকুট পড়েছে একবার। প্রথম ১৯৯৮ সালে, ঘরের মাঠেই। ২০০৬ সালে ফাইনালে উঠলেও হারতে হয়েছে ইতালির সঙ্গে টাইব্রেকারে। যে ম্যাচে মাতোরাজ্জিকে ঢুস মেরে লাল কার্ড দেখেছিলেন ফ্রান্সের জিনেদিন জিদান। অনেকের মতে, ঐ ম্যাচে জিদান যদি মাথা ঠাÐা করে খেলতেন, শিরোপা জিতত ফ্রান্সই। তখন হয়তো ষোলোকলাই পূর্ণ হতো। বলা যেত, মহাদেশীয় কিংবা বৈশ্বিক, যে কোনো টুর্নামেন্টই হোক, ফাইনালে উঠলে শিরোপা জেতে ফ্রান্সই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।