পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতি আর ঘুষ বন্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তা এখন থেকে জোরে জোরে বাজানো যায় কি-না- প্রশ্ন রেখেছেন হাইকোর্ট। সকল পর্যায় থেকে সর্বস্তরের রাষ্ট্রীয় সব অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান কেন বাধ্যতামূলক নয়-এই মর্মে জারিকৃত রুলের শুনানিতে এ মন্তব্য করেন আদালত। গতকাল বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের ডিভিশন বেঞ্চে এ শুনানি হয়।
এ সময় রিটকারীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন। সরকারপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। জাতির জনকের বিভিন্ন স্থানে দেয়া ভাষণে ও কাউকে চিঠিপত্র লেখার পর ওই ভাষণ বা পত্রের শেষে ‘আল্লাহ হাফেজের পরপর ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতেন বলে শুনানিতে উল্লেখ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তির পর দেশে ফিরে জওহর লাল নেহেরুকে লেখা চিঠিতে ‘আল্লাহ হাফেজ’ এবং সর্বশেষ ‘জয় বাংলা’ স্লোগান লিখে শেষ করেছিলেন। তিনি দেশ-বিদেশে অসংখ্য স্থানে মিটিংয়ে বক্তৃতার পর এবং চিঠি শেষে এ স্লোগান দিয়েছিলেন।
শুনানির একপর্যায়ে মাহবুবে আলম বলেন, ১৯৭২ সালের ৫ এপ্রিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ময়মনসিংহের সার্কিট হাউজে গিয়ে এক বক্তৃতায় দুর্নীতি ও ঘুষের বিরুদ্ধে কথা বলেন। জাতির জনক বলছিলেন, আপনাদের কাছে আমার আরেকটি অনুরোধ হলো, যে দুর্নীতি ও ঘুষের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে রাজি আছেন কি-না? জবাবে জনগণ বলেছিলেন ‘হ্যাঁ।’
এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত প্রশ্ন রাখেন, দুর্নীতি ও ঘুষ নিয়ে এখন জাতির জনকের ওই বক্তৃতা জোরে জোরে বাজানো যায় না? দেশের ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান খালি হয়ে যাচ্ছে। দেশের মাত্র ২০-২২ জন লোক দেউলিয়া হয়ে গেলে, ব্যাংক খাতে ধস নামবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।