Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুদক ১৪টি উৎস চিহ্নিত করেছে

স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

দেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ওপর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর কাছে তিনি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে স্থলবন্দরে দুর্নীতির ১৪টি উৎস চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে ২৮টি সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিবেদন দাখিলের পর কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান সাংবাদিকদের বলেন, দুর্নীতিবাজ ধরার চেয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ করাই মূল লক্ষ্য। ইতোমধ্যে ১৬টি মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এটি শুধু অনুসন্ধানী প্রতিবেদন নয়, এটি একটি দলিল।
তিনি বলেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীও প্রতিবেদনটি সাদরে গ্রহণ করেছেন। প্রতিবেদন আমলে নিয়ে সুপারিশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করা হয় তাহলে দুর্নীতি দমন করা সম্ভব। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দুদকের প্রতিবেদন সাদরে গ্রহণ করেছি। প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছি। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়া আমাদের একটি লক্ষ্য। তবে এটি একটি চ্যালেঞ্জও বটে।
তিনি চৌধুরী বলেন, দুদকের প্রতিবেদনের সঙ্গে দ্বিমত করছি না। কিছু কিছু ত্রæটি আছে তা স্বীকার করছি। স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এককভাবে কাজ করে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিটি বন্দরকে অটোমেশনের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে বেনাপোল বন্দরকে এর আওতায় আনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি বন্দরগুলো এর আওতায় আসবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুদক স্থলবন্দরে যেসব দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করেছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিনা শুল্কে আমদানিকৃত মালামাল ছেড়ে দেওয়া হয়। এতে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা জোরদার করতে বলা হয়েছে। এই সংস্থার কেনাকাটায় দুর্নীতি হয়। সেক্ষেত্রে দুদকের সুপারিশ, সরকারি ক্রয় আইন ফলো করা। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে স্থলবন্দরে লোক নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগকৃত লোকের নামে বিলও তোলা হয়। কিন্তু দেখা যায়, আসলে কোনও লোক নিয়োগ করা হয়নি। এ কারণে সেখানে মনিটরিং জোরদার করতে বলা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, মালামাল হ্যান্ডলিংয়ে ঘুষের মাধ্যমে অযোগ্য ঠিকাদারকে কাজ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে সুষ্ঠুভাবে এই হ্যান্ডলিংয়ের কাজ যোগ্য ঠিকাদারকে দেওয়ার ক্ষেত্রে মনিটরিং জোরদার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্থলবন্দরের কার্যক্রমে গভীর মনোনিবেশ করতে বলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুর্নীতি

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ