রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গম চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষক। কয়েক বছর আগেও সর্বত্রই গম চাষ করা হতো। কিন্তু উৎপাদন খরচ না ওঠায় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তারা। এখন গম চাষের পরিবর্তে বিকল্প ফসল হিসেবে ভুট্টা চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছে কৃষক।
সরেজমিনে জানা যায়, ১০ বছর আগেও রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ বেশিরভাগ এলাকায় তামাক চাষ হতো। সরকারি-বেসরকারি প্রচারণায় কৃষক তামাক চাষে নিরুৎসাহিত হয় ও গম চাষে ঝুঁকে পড়েন। পরবর্তীতে ভালো বীজ সঙ্কট, বৈরী আবহাওয়া ও খরচ বেশি হওয়ায় কৃষক আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। গমের জমিতে এখন হচ্ছে চাষ ভুট্টা। ভুট্টা চাষে খরচ কম, লাভও বেশি হয়।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পীরগাছা উপজেলায় গত ৫ বছরে গম চাষ ব্যাপক হারে হ্রাস পেতে শুরু করেছে। ২০১৫ সালে ৬২২ হেক্টর, ২০১৬ সালে ৫১০ হেক্টর, ২০১৭ সালে ৪৭০ হেক্টর, ২০১৮ সালে ৪২০ হেক্টর, ২০১৯ সালে ৩১০ হেক্টর জমিতে গম চাষ করা হয়। চলতি বছরে গম চাষ করা হয়েছে ৩২০ হেক্টর।
চর ছাওলা গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, আগে তামাক চাষ করতাম। তামাকে ক্ষতির কথা জেনে গম চাষ শুরু করি। কিন্তু গমে চাষে লোকসানে পড়তে হয়। তাই গত ৫ বছর ভুট্টা চাষ করছি। ভুট্টায় লাভ বেশি। গাবুড়ার চরে আশরাফ উদ্দিন বলেন, বাজারে গমের ভালো বীজ পাওয়া যায় না। বৈরী আবহাওয়ায় ফলন ভালো হয় না। তাই গম চাষে আগ্রহ নেই। তাছাড়া ভুট্টা চাষে তেমন শ্রমিকও লাগে না। অন্যান্য খরচও কম।
উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, গম চাষে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। গম চাষের তুলনায় ভুট্টা চাষে খরচ কম। ফলন ভালো হয়। উৎপাদন খরচও কম।
পীরগাছা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, গম চাষ বৃদ্ধির জন্য উপজেলা কৃষি বিভাগ কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছে। প্রণোদনা হিসেবে বীজ ও সার দেয়া হচ্ছে। তথাপিও কৃষকদের মাঝে তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। ফলে প্রতি বছরই গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা কমে আসছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।