মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্যক্তিগত সফরে গিয়ে লাহোরে পাক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস নেতা শত্রুঘ্ন সিন্হা। শুধু দেখা করাই নয়, সীমান্ত বরাবর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার বিষয়েও দু’জনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। রোববার টুইট করে এ তথ্য জানিয়েছেন পাক প্রেসিডেন্ট।
জানা গেছে, গত শনিবার পাক ব্যবসায়ী মিয়া আসাদ অহসানের আমন্ত্রণে লাহোরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শত্রুঘ্ন । পরে গভর্নর হাউসে পাক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। বেশ কয়েকটি বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। এর অন্যতম বিষয় ছিল কাশ্মীর। আলোচনা শেষে প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়, অধিকৃত কাশ্মীর প্রসঙ্গের পাশাপাশি উপমহাদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে দু’দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে ওই সাক্ষাতে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার এবং কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে তার উদ্বেগকে শত্রুঘ্ন সমর্থন করেছেন বলেও একটি টুইটে জানান পাক প্রেসিডেন্ট। পাক প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্য শত্রুঘ্ন তো বটেই, কংগ্রেসকেও যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলল বলে মনে করছেন ক‚টনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
পরে টুইট করে শত্রুঘ্ন সিনহা জানান, ‘বহু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। কিন্তু রাজনীতি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। আমার বন্ধু, শুভাকাক্সক্ষী, সমর্থকরা এবং অবশ্যই সংবাদমাধ্যম অবশ্যই বুঝবে, কেউ যোগ্য, পদাধিকীরা ও সরকার প্রেরিত না হলে বিদেশের মাটিতে বসে দেশের নীতি বা রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে পারে না।’
প্রসঙ্গত, গত আগস্টে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস’ তুলে নিয়ে কেন্দ্র তাকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় মোদি সরকার। সেই সময় থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে কাশ্মীরে। কেবল নিষেধাজ্ঞা জারি করাই নয়, আটক করা হয়েছে বহু রাজনীতিবিদকেও। তাদের অন্যতম রাজ্যের সাবেক তিন মুথ্যমন্ত্রী। সরকার জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা ধাপে ধাপে তুলে নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে ইমরান খানের শপথে গিয়ে পাক সেনা প্রধানকে আলিঙ্গন করায় প্রবল সমালোচনা মুখে পড়েছিলেন কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিংহ সিধু। তার এই সাক্ষাৎ নিয়ে যাতে আবার বিতর্ক মাথাচাড়া না দেয় তাই অনেকটা কৌশলেই টুইট করে শত্রুঘ্ন বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সফর। এর সঙ্গে কোনও রাজনীতির কোনও যোগ নেই।’ পরে আরও একটি টুইটে তিনি বলেন, ‘পাক ব্যবসায়ীর আমন্ত্রণেই এখানে এসেছি। ওই ব্যবসায়ী আমার বন্ধু এবং পরিবারের মতো। আমার পরিবারের তরফে ব্যবসায়ীর ছেলের বিয়েতে হাজির ছিলাম।’ সূত্র : এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।