Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ সংঘর্ষে আহত ৯

ইবি সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

জুনিয়র কর্তৃক সিনিয়রকে মারধরকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের জিয়া মোড় এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের প্রায়-৯ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হলে মার্কেটিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জেবিয়ারকে বন্ধু ভেবে পেছন থেকে ডাক দেন আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কামাল হোসেন।পরে জেবিয়ার সেখানে গেলে ভুল বুঝে ডাকার কারণে দুঃখ প্রকাশ করেন কামাল। এসময় কামাল দুঃখ প্রকাশ করার পরও জেবিয়ার কামালের উপর কিছুটা চড়াও হন। এসময় জেবিয়ার কামালকে শাসান এবং পরে দেখা করতে বলেন। পরে কামাল তার বন্ধুদের নিয়ে জিয়া হলে (১২৭) জেবিয়ারের সাথে দেখা করতে যায়। এসময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জেবিয়ারকে মারধর করে কামাল ও তার বন্ধুরা। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতারা ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি সমাধান করেন।
পরে জিয়া হলের ২০৮ নম্বর রুমে কামাল অবস্থান করছে সংবাদ পেয়ে জেবিয়ার তার বন্ধু ইমতিয়াজ, জয়, সালমান, হামজাসহ প্রায় ১০-১৫ জন কর্মী নিয়ে তার রুমের সামনে যায়। এসময় কামাল রুম থেকে বের হলে তারা দরজায় লাথি দেয় এবং জানালার গ্লাস ভাংচুর করেন।এরপর কামালকে না পেয়ে তারা হল থেকে বের হয়ে আসলে জিয়া মোড় এলাকায় জিয়া হলসহ অন্যান্য হলে থেকে আসা কামালের গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে জেবিয়ারের কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। এসময় উভয় কর্মীদের হাতে লাঠিসোঠা, দেশিয় অস্ত্র দেখা যায়।
এ সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ৯ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে হিমেল চাকমা নামের এক কর্মীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের এই সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নীরব দর্শকের ভ‚মিকা পালন করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। সংঘর্ষের সময় তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও পরে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান এবং সংঘর্ষ শেষ হলে আসেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে আমরা প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে যাই। ছাত্রলীগের নেতারা নিজেরাই বিষয়টি সমাধান করায় আমরা কোন পদক্ষেপ নেইনি।’ দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরে পুলিশ ঘটনাস্থল কেন আসল? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পুলিশ ফোর্স প্রধান ফটকে প্রস্তুত ছিল। পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তারা ঘটনাস্থলে আসেনি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ