পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব ৪০ লাখে সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এই নেতা বাণিজ্য সম্পর্কিত ৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ (ফেইসবুক) মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অডিওতে রাকিব ৪০ লাখেরও বেশি টাকা দিয়ে নেতা হয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। এমনকি ওই টাকা আগামী ছয় মাসে ডাবল হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
ওই কথোপকথন থেকে জানা যায়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) মাহমুদুল হাসান নামে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে নেতা বানানোর পরিকল্পনা করা হয়। তাকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর মাধ্যমে পাবিপ্রবির নেতা বানাতে পারবে বলে জানান রাকিব। রাব্বানী তাকে আঞ্চলিক নেতা বানানোর দায়িত্ব দিয়েছেন। পাঠকদের উদ্দেশ্যে অডিও ক্লিপটির কথোপকথোন তুলে ধরা হলো:
‘অজ্ঞাত ব্যক্তি : পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওই ছেলেটা, ওর বাড়ি টাঙ্গাইল।
রাকিব : নতুন এই কমিটিতে পোস্ট কি হইছে?
অজ্ঞাত ব্যক্তি: কি সম্পাদক যেন! সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, সেক্রেটারির সাথে ভালো সম্পর্ক, ভিসির সাথে ভাল সম্পর্ক। ঠিক আছে? তোমার মতই ভিসির সাথে ভাল সম্পর্ক। আর... টাঙ্গাইলের ওই ছেলে, ওই ছেলের টাকা পয়সার অভাব নাই। সেই পরিবারের ছেলে নেতা হবে। কি পলিসি খাটাবো?
রাকিব : ঢাকা যায়ে খাটতে হয়। খাটতে বলতে কি, বহুত কাঠ খড়ি আছে,,,, তবে এখন আমার যে হিসাব নিকাশ, রাব্বানী ভাইয়ের সাথে আমার যে সম্পর্ক, এ আঞ্চলিক যে বিষয়টা আমি যদি ভাইরে বলি ভাই আমার কথা শুনবে। ভাই আমাকে অলরেডি বলেছে। অজ্ঞাত ব্যক্তি : বিষয়টা হচ্ছে আমি বারবারই যে কথাটা বলেছি রাব্বানী লেভেলে লবিংটা তোমার মেইনটেইন করতেই হবে..
রাকিব : আমি বলি, আমি আপনারে বলি ওরে নেতা হতে হলে, ভিসি স্যার যদি বলে তাহলে ও নেতা হতে পারবে। আর ভিসি স্যারের সাথে আমার সম্পর্ক খুব ভালো। ভিসি স্যার রে আমি এখন পযর্ন্ত কারো নাম বলিনাই।
অজ্ঞাত ব্যক্তি : আর কথা হচ্ছে তোমার মেইনলি যে জিনিসটা দেখতে চাই। বাঁধন যেহেতু লোকাল।
রাকিব : বাঁধন যা বলবে নে তাই শুনব নে।
অজ্ঞাত ব্যক্তি : ওনার সাথে ইয়ে সব তোমার ঠিকঠাক রাখা দরকার। বলিছে বিশ্ববিদ্যালয় দেখবে। এখন ধরও তোমার আমার দুইটা কাজ হচ্ছে খুব জরুরি। এখন আমার যে কারণে হয় ইয়েস অর নো নেগেটিভ, ওদের তিনচার দিনের ভিতরে.. তোমারও জোর আছে একটা, আমারও জোর আছে।
রাকিব : হুমম..
অজ্ঞাত ব্যক্তি : ঠিক আছে? সেই ব্যাপারটা ওদের সাথে সেভাবে কথা বলা যায়। ওরা খুব নাছোড়। যে ওর কাছ থেকে টাকা নিয়ে আমরা খাব। কারণ সরাসরি হচ্ছে রাব্বানী লাইনে আসুক ওই লাইনে গেলেই তোমার ধর, এর ভিতরে তোমার ধর যে ইনভেস্টম্যান্ট সেটাও কিন্তু তোমার থেকে যাবে।
রাকিব : এই ইনভেস্টম্যান্টটা বাদ দেন। . . .
অজ্ঞাত ব্যক্তি : যোগাযোগটোগ আছে। মুটামুটি নাতো.. মনে কর হট সম্পর্ক হতে হবে। এখন মূলত ও যে জায়গাতে, মেইনলি বড়লোকের ছেলে তো! ঠিক আছে..
রাকিব : হুমমম
অজ্ঞাত ব্যক্তি : ও এদিকে রাজনীতির সাথে হচ্ছে কমিটিতে টমিটিতে আছে বাদবাকি টাকা পয়সা দিয়ে হচ্ছে ও বের হয়ে আসবে। যে কারণে এত ইয়ে করা। আমার কাছে বলছে টাকা পয়সার কোনো সমস্যা নাই। ঠিক আছে..
রাকিব : আচ্ছা! আপনে ওরে আমারে একটু ফোন দিতে বলেন, আমার নাম্বারটা দিয়ে একটু ফোন দিতে কন। আমি ওর সাথে একটু ডিরেক্ট কথা বলি...
অজ্ঞাত ব্যক্তি : ও আচ্ছা.. আর এমনি আমার কাছে একটু প্রাথমিক ধারণা চাইছে। ঠিক আছে? আমার কাছে নরমালি জিজ্ঞেস করছে হচ্ছে ফুফাতো ভাইয়ের মাধমে। যে হচ্ছে টাকা পয়সা? আমি বললাম যে টাকা পয়সা নিয়ে কোনো সমস্যা নাই। টাকা পয়সার একটা ধারণা দিতে বলছে। কাজ হতে হবে, কাজ হতে হবে..
রাকিব : হুমম.. কাজ হতে হবে।
অজ্ঞাত ব্যক্তি : তোমার ইয়ে সম্পর্কে তুমি যেভাবে বলছিলে আরকি, বিভিন্নভাবে কমিটি ভাঙা তারপর গড়া, তারপর অন্যান্য ঝামেলা, প্রিন্ট ট্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় তোমারতো একটা বড় অঙ্কের টাকা খরচ হয়ে গেছে।
রাকিব: হুমম.. হিউজ.. হিউজ..
অজ্ঞাত ব্যক্তি: সেই ফিগার তো আমি জানি, তা প্রায় মনে হয় চল্লিশের কাছে হবে..!
রাকিব: হুমম..
অজ্ঞাত ব্যক্তি : এসব নিয়ে ওর হচ্ছে কোনো আপত্তি নাই, ওর কথা হচ্ছে যে কোনোভাবে হতে হবে। এখন কোন লাইনে হবে সেটা বড় কথা না, এখন করবা তুমি.. হতে হবে।
রাকিব : হুম হতে হবে..
অজ্ঞাত ব্যক্তি : এখন ধরো সেক্ষেত্রে তোমারো, তুমি যেহেতু খরচপত্র করি আসছো, আমি চাই তোমার এই খরচটা পূরণ হোক। ঠিক আছে?
রাকিব : না ভাই শোনেন কোনো ছেলেরে ইয়ে করতে গেলে... । এখন আমার যা খরচ হইছে এটা কোনো ব্যপার না। ওইটা ছয় মাস গেলে সব ডাবল হয়ে যাবে, সমস্যা নাই। কিন্তু ওরে হচ্ছে ফোন দিতে কন আমি সব জায়গায় দেখা করে আসবোনি।
অজ্ঞাত ব্যক্তি : শোভন বা রাব্বানী দুইটা লাইনই তো তুমি কনফার্ম করতে পারবা?
রাকিব : হ্যাঁ, হ্যাঁ কনফার্ম করতে হবে।
অজ্ঞাত ব্যক্তি : না সেটা না বলছি যে শোভন বা রাব্বানী দুইটা লাইনই তো তুমি কনফার্ম করতে পারবা?
রাকিব : হ্যাঁ, হ্যাঁ পারব, দুইটাই পারবো।
অজ্ঞাত ব্যক্তি : সে জন্যই বলছি যে টাকার লাইনে ওর টাকার কোন সমস্যা নাই। কিছুক্ষণের মধ্যেই তোমার সাথে কথা বলার কথা বলতেছি। ঠিক আছে..
রাকিব : হুমম..
অজ্ঞাত ব্যক্তি: আর সেটা যদি তুমি মনে করো সেক্ষেত্রে তুমি বলবা যে টাকার লাইনে হলে এভাবে কিভাবে কি করতে হয় সেটা তোমার দায়িত্ব তুমি শোভনরে দিয়ে না রাব্বানীরে দিয়ে করবা, ওর মেইনলি সর্বশেষ যে কথা আমারে বলেছে ঠিক আছে? সে কথাটা এরকম ওর মুটামুটি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততা আছে, রাজনৈতিক পরিবার, ও নেতা হবে টাকা কোনো ব্যাপার না। কোন ভাবে কি করবা, রাব্বানীর কাছে গোপন থাকবে কি করবা? এইটা পরে হবে। সেক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে আমি তোমাকে বলতেছি। তুমি....
রাকিব : ও যদি টাকা দিয়ে কমিটি করতে না চায়, তাহলে আমি অরেক জায়গায় কিছু করব।
এবিষয়ে শাখা ছাত্রলীগকর্মী তম্ময় শাহা টনি বলেন,‘ সাধারণ সম্পাদকের অডিওর কথা শুনেছি। দ্বায়িত্বশীল পর্যায়ের কারো কাছে ছাত্রলীগ এমনটা কামনা করে না। সাধারণ কর্মী হিসেবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অডিও ক্লিবের বিষয়ে সত্য ঘটনা নিশ্চিত করে সকলের নিকট উপস্থাপন করা হোক।’ সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘অডিওটা আমার না। আমার ভয়েজের মত নকল করে অডিও বানানো হয়েছে। আমার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এসব করা হচ্ছে।’ এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন,‘অডিওটা আমি শুনেছি। এর সত্যতা যাছাইয়ের জন্য তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।