নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দীর্ঘ অর্ধযুগ পর মাঠে গড়াল নারী ফুটবল লিগ। দেশে ২০১১ সালে প্রথম আসর মাঠে গড়ানোর পর সর্বশেষ নারী ফুটবল লিগ হয়েছে ২০১৩ সালে। বিশাল জয়ে লিগের তৃতীয় আসর শুরু করল শিরোপা প্রত্যাশি বসুন্ধরা কিংস। শনিবার বিকেলে কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ট্রিকোটেক্স নারী ফুটবল লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে বসুন্ধরা ১২-০ গোলে বিধ্বস্ত করে বেগম আনোয়ারা স্পোর্টিং ক্লাবকে। অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী সরকারের হ্যাটট্রিকের সুবাদে বসুন্ধরা এই বিশাল জয় তুলে নেয়। বিজয়ীদের পক্ষে কৃষ্ণা ৪, সাবিনা ৩, মিশরাত জাহান মৌসুমী ২ এবং শিউলি আজিম, নার্গিস খাতুন ও মারিয়া মান্ডা ১টি করে গোল করেন।
জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া শক্তিশালী বসুন্ধরা কিংস শনিবার প্রত্যাশিতভাবেই পুরো ম্যাচ জুড়ে আধিপত্য বিস্তার করে খেলে গোলের পর গোল আদায় করে নেয়। ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালায় বসুন্ধরা। গোল পেতে দেরী হয়নি দলটির। প্রথম মিনিটেই অধিনায়ক সাবিনার গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। এসময় সাবিনা প্রতিপক্ষ দলের ডি-বক্সের ভেতরে বল পেয়ে নিখুঁত শটে গোল করেন (১-০)। ম্যাচের ৪ মিনিটে হেডে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কৃষ্ণা (২-০)। সাত মিনিট পর সানজিদা আক্তারের কর্নারের বলে হেড করে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন কৃষ্ণা (৩-০)। বিরতির আগে আরো দু’গোল পায় বিজয়ীরা। ম্যাচের ৪০ মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা সাবিনার বাড়ানো বল কৃষ্ণার পা হয়ে মৌসুমীর কাছে গেলে মাপা শটে গোল করেন এই মিডফিল্ডার (৪-০)। পরের মিনিটেই সাবিনার সঙ্গে বল আদান-প্রদানের মাধ্যমে নিজের দ্বিতীয় ও ম্যাচের পঞ্চম গোলটি করেন মৌসুমী (৫-০)। এই ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে যেন গোলক্ষুধা বেড়ে যায় বসুন্ধরার। ফলে বিরতির পর আরো সাত গোল আদায় করে নেয় তারা। ম্যাচের ৪৬ মিনিটে কৃষ্ণার বাড়ানো বলে সাবিনা প্লেসিং শটে স্কোরলাইন ৬-০ করেন। ৫৫ মিনিটে নীলার আড়াআড়ি ক্রস থেকে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন কৃষ্ণা (৭-০)। দু’মিনিট পর শিউলি আজিম স্পট কিকে ব্যবধান আরো বড় করেন (৮-০)।
ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে ম্যাচের ৫৯ মিনিটে প্রায় ২০ গজ দূর থেকে সাবিনা শট নিলে তা ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। তবে ৬৩ মিনিটে কৃষ্ণার ক্রস ধরে মারিয়া বল বাড়িয়ে দেন সাবিনাকে। সাবিনা দারুণ শটে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন (৯-০)। এরপর ৮৩ মিনিটে কর্নার থেকে নার্গিসের হেডে স্কোরলাইন হয় ১০-০। পরে তিন মিনিটের ব্যবধানে আরো দু’গোল পায় বসুন্ধরা। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে মারিয়ার বাঁকানো কর্নার প্রতিপক্ষ দলের গোলরক্ষকের গ্লাভস ফস্কে জালে জড়ায় (১১-০)। আর শেষ মিনিটে ছোট বক্সের ভেতর থেকে কৃষ্ণা শটে গোল করলে বসুন্ধরার বিশাল জয় নিশ্চিত হয় (১২-০)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।