Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গাজীপুরে স্বামী স্ত্রীকে মারধর

তোপের মুখে পুলিশ

গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৭:২৯ পিএম | আপডেট : ৭:৩৫ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে পুলিশ কর্তৃক স্বামী কে মারধরের প্রতিবাদ করায় স্ত্রী রেহাই পায়নি পুলিশের মারধর থেকে।

এ সময় এলাকাবাসীর তোপের মুখে অভিযুক্ত শ্রীপুর থানার এস আই নাহিদ হাসান তার সঙ্গীয় ফোস নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর পৌরসভার বেড়াইদের চালা (২নং সি এন বি) এলাকায় শুক্রবার রাতে।

পুলিশ দারা মারধরের শিকার নূরুল ইসলাম জানান, একই এলাকার আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে নছ মিয়ার কাছ থেকে গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুই দলিল মূলে ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ৭ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রি বায়না করে। পরে জমির চারপাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজও শেষে করে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে স্থানীয় রাজু মিয়ার ছেলে হুমায়ুনকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাহিদ হাসান ফোর্স নিয়ে তার বাড়িতে যায়। পুলিশ তার কাছে ওই জমি কেনার কারণ জানতে চায়। কিছু বলার আগেই ওই এসআইয়ের সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা তার শার্টের কলার ধরে টানা-হেচড়া শুরু করে। স্ত্রী প্রতিবাদ করলে পুলিশ তার দুই গালে চর-থাপ্পর মারে। পুলিশের সঙ্গে হুমায়ুনও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তাদের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়। এ সময় তারা ওই এসআইয়ের কাছে নারীকে চড় দেয়ার কারণ জানতে চায়। পুলিশ স্থানীয়দের তোপের মুখে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত চলে যায়।

জমি বিক্রেতা মোহাম্মদ আলীর ছেলে নছ মিয়া জানান, গত ৩/৪ বছর আগে তার আপন চাচাতো ভাই কামাল হোসেনের কাছ থেকে সাব-কাওলা দলিল মূলে ৭ শতাংশ জমি ক্রয় করেন তিনি। ওই জমি সে স্থানীয় নূরুল ইসলামের কাছে গত সোমবার রেজিষ্ট্রি বায়না করে দেয়। তবে পুলিশ তাদেরকে মারধর করার খবর শুনে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।

তিনি আরো বলেন, আমি আমার ক্রয়কৃত জমি বিক্রি করেছি। এখানে যদি কেউ জমি পেয়ে থাকে তাহলে আমাকে বলবে। তাছাড়া জমি বিক্রি করার সময় তো কেউ আমাকে কিছু বলেনি। ক্রেতাকে মারধর করার কোন কারন তো এখানে নেই। সে টাকা দিয়ে আমার কাছ থেকে জমি কিনেছে।

অভিযুক্ত শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাহিদ হাসান জানান, জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় স্থানীয় রাজু মিয়ার ছেলে হুমায়ুনের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি আদালতের আদেশ (১৪৪ ধারা) জারি করতে গিয়েছিলেন। তবে মারধর, টানা-হেচড়া ও নারীকে চড়-থাপ্পড় মারার ঘটনা অস্বীকার করেন।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনাটি জানাবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ