মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সন্ত্রাসের অর্থ জোগানের উপরে নজরদারির আন্তর্জাতিক সংস্থা এফএটিএফ’র ধূসর তালিকা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছে পাকিস্তান। এফএটিএফ’র নির্ধারিত ২৭টি শর্তের মধ্যে ১৪টি ইতিমধ্যে পালন করেছে তারা। এবার পাক সরকার ঘোষণা দিয়েছে, আগামী আট মাসের মধ্যে বাকি ১৩ শর্ত পালন করে ‘ধূসর তালিকা’ থেকে বের হয়ে যাবে তারা।
মঙ্গলবার প্যারিসে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ)-এর ৩৯ সদস্য দেশের মধ্যে বৈঠক হয়। সেখানেই পাকিস্তান ও ইরানকে নিয়ে আলোচনা হয়। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় এই দুই দেশের ভূমিকার কথা উঠে আসে। তুরস্ক ও মালয়েশিয়া সমর্থন করে পাকিস্তানকে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানকে ‘ধূসর তালিকায়’ থেকে বের হতে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। এর মধ্যেই বাকি ১৩টি শর্ত বাস্তবায়ন করে ফেলতে হবে। ২ দফায় এগুলো পূরণ করতে হবে। এর মধ্যে আগামী জুন মাসের মধ্যে ৮ টি শর্ত পূরণ করতে ফেলতে হবে ইসলামাবাদকে।
প্রসঙ্গত, লস্কর ই তৈয়বা, জইশ ই মহম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদ্দিনের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলিকে আর্থিক জোগান বন্ধ করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার জন্য ধূসর তালিকায় রাখা হয় পাকিস্তানকে। কিন্তু সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে শুরু করায় কালো তালিকাভুক্ত করা হয়নি পাকিস্তানকে। যার মধ্যে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত জোগানো বন্ধ থেকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসবাদীদের কড়া সাজা ঘোষণা, সবই রয়েছে।
ধূসর তালিকা থেকে বের হওয়ার কঠিন শর্তগুলো পালন করতে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আন্তরিক চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি লস্কর-প্রধান হাফিজ সাইদের পাঁচ বছরের সাজা ঘোষণা করে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী পদক্ষেপের বার্তা দেয়া হয়েছে। গত বছর জুনে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, সন্ত্রাসবাদীদের অর্থের যোগান বন্ধ করার জন্য তারা যথেষ্ট উদ্যোগ নেয়নি। তার পরে জুলাইতেই গ্রেফতার করা হয় হাফিজকে। আবার ঠিক এফএটিএফের বৈঠকের আগেই সাজা দেয়া লস্কর- প্রধানকে। এর মাধ্যমে ধূসর তালিকা থেকে বের হওয়ার রাস্তা অনেকটা পরিস্কার হয়ে গেছে পাকিস্তানের।
অতীতে ইরান, উত্তর কোরিয়াকে কালো তালিকায় ফেলেছে এফএটিএফ। পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় ফেলা হয় ২০১৮ সালের জুন মাসের বৈঠকে। এই তালিকায় থাকা মানে, এফটিএফ মনে করছে আর্থিক অপরাধ বা জঙ্গিদের অর্থসাহায্য বন্ধ করতে না পারার কারণে সে দেশের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে। এফএটিএফ সন্ত্রাসবাদীদের অর্থসাহায্য রুখতে ২৭ টি শর্ত দিয়েছিল পাকিস্তানকে। এদিকে পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করতে বদ্ধপরিকর ভারত। নয়াদিল্লির অভিযোগ, একদিকে লস্কর, জইশ, হিজবুলের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলিকে প্রত্যক্ষ মদত করছে পাকিস্তান, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের অনুরোধ জানাচ্ছে। সূত্র: খালিজ টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।