বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ছাপা বন্ধ থাকায় সিলেট বিআরটিএ অফিসে আটকে আছে দু’লক্ষ ড্রাইভিং লাইসেন্স। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ভুক্তভোগী গ্রাহকরা দ্রুত লাইসেন্স না পেলে আন্দোলন করবেন বলে ও হুমকি দিয়েছেন। তবে সিলেট বিআরটিএ অফিস বলছে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য কাজ চলছে।
সিলেট বিআরটিএ অফিসে কথা হয় দক্ষিণ সুরমা এলাকার ভুক্তভোগী গ্রাহক সুমন মিয়ার সাথে। ইনকিলাবকে তিনি বলেন, ড্রাইভিং ভিসায় কাতার যাওয়ার জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে দিয়েছেন। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি লার্নার ফরমের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের (পেশাদার চালক) আবেদন করেছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী বিআরটিএ-এর লিখিত, মৌখিক এবং ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। নির্ধারিত তারিখে ছবি ও ফিংগার প্রিন্ট দিয়ে একটি অস্থায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্সও হাতে পেয়েছিলেন। চলতি বছরের ২৬ ডিসেম্বর লাইসেন্স পাওয়ার সম্ভাব্য তারিখ থাকলেও বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ এখনও লাইসেন্স দিতে পারেনি। দক্ষিণ সুমার সুমনের মত এভাবে অনেককেই লাইসেন্স দিতে পারছে না সিলেট বিআরটিএ অফিস। কারণ-স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাপা বন্ধ থাকায় এমনটি করছে এ কার্যালয়। এতে আটকে রয়েছে লক্ষাধিক গ্রাহকের ড্রাইভিং লাইসেন্স।
বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রিন্টিংয়ের জন্য ব্যবহৃত ‘ডুয়েল ইন্টারফেজ পলিকার্বনেট’ কার্ডটি শেষ হওয়ার কারণে প্রিন্টিং জটিলতা দেখা দিয়েছে। স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনকারীদের অভিযোগ, লাইসেন্স পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন আগে বিআরটিএতে পরীক্ষা দিয়েছেন তারা। এরপর ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে অস্থায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ১০-১১ মাস যাবৎ দুই-তিন দফা এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স দিচ্ছে না বিআরটিএ। অস্থায়ী স্লিপ পাওয়া অনেকেই জানান, দীর্ঘ সময় ব্যবহার করায় কাগজে লেখা অস্থায়ী স্লিপগুলো ময়লা হয়ে ছিঁড়ে যাচ্ছে। মেয়াদ শেষে লাইসেন্সের খোঁজ নিতে গেলে কর্তৃপক্ষ আবারও মেয়াদ বাড়িয়ে দিচ্ছে। কিন্তু লাইসেন্স কবে দেওয়া হবে সে বিষয়ে কিছু বলছে না।
বিআরটিএ’র পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) মো. লুকমান হোসেন মোল্লা এ বিষয়ে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘লাইসেন্স কার্ডের জন্য নতুন দরপত্র আহবান করা হয়েছে। নতুন কোম্পানির সাথে চুক্তি হলে আশা করা যায় দ্রুত সময়ে সমাধান হবে। তবে ফিঙ্গারের স্লিপ দিয়ে রাস্তায় গাড়ি চালাতে সমস্যা হচ্ছে না। এছাড়া বিদেশ যাত্রীরা যাথে স্লিপের মাধ্যমে এম্বেসিতে থেকে ভিসা পেতে পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দুই লক্ষের উপরে লাইসেন্সের প্রিন্টিং আটকে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।