পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে ইকোনমিক ক্যাডার কর্মকর্তাদের একীভূত করা হলো হলেও দুই বছরে এসব কর্মকর্তা কারো পদোন্নতি হয়নি। ২০ থেকে ২৭ ব্যাচের ইকোনমিক ক্যাডার কর্মকর্তাদের পদোন্নতি না দিয়ে উল্টা ১৫ ও ১৭তম ব্যাচের উপ-প্রধানদের বিষয়ে একটি চক্র জনপ্রশাসনে তদবির করছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা।
প্রশাসন ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার গেজেট হয়েছে ১৫ মাস আগে। কিন্তু এখনও তাদের ভূতপূর্ব ক্যাডারের পদ ব্যবহার করতে পারছেন না বলে ইকোনমিক ক্যাডারের কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক অতিরিক্ত সচিব ইনকিলাবকে বলেন, ইকোনমিক ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তাদের প্রশাসন ক্যাডারে একীভূত করার ক্ষেত্রে বিধিবিধান অনুসরণের পাশাপাশি বাস্তব নানা প্রেক্ষাপটকেও বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে। ফলে কারো কোনো সমস্যা হবে না। এ কথা সত্য যে, বর্তমান জনপ্রশাসন সচিব দায়িত্ব নেয়ার পর তাদের বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ইকোনমিক ক্যাডারের সিডিউলভুক্ত বিভিন্ন গ্রেডের ৫৩৮টি পদ প্রশাসন ক্যাডারের যুক্ত করে। এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ৪৬২ জন কর্মকর্তাকে একীভূত করে ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর গেজেট প্রকাশ করা হয়। প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত হওয়া ইকোনমিক ক্যাডার কর্মকর্তারা পদোন্নতির চান। কোনো অবস্থাতে করে ২০ থেকে ২৭তম ব্যাচের সিনিয়র সহকারি প্রধানদের আগে পদোন্নতি দিতে হবে।
তবে উপপ্রধান পদোন্নতি নিশ্চিত না করে জুনিয়র ব্যাচের পদোন্নতি প্রদানে আপত্তি রয়েছে জানিয়েছে উপপ্রধান পদে থাকা কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, উপসচিব পদে অন্তর্ভুক্ত না করে ২০ থেকে ২৭তম ব্যাচের উপসচিব পদে পদোন্নতি করা যাবে না। তবে তা মানতে নারাজ ২০ থেকে ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন চাকরির শৃঙ্খলা সুরক্ষার স্বার্থে ব্যাচের ২০ থেকে ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের পদে পদোন্নতি দেয়া জরুরি।
কর্মকর্তরা জানান, জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় একীভূতকরণ পরবর্তী কাজগুলো দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টিকে ত্বরান্বিত করতে গত ৪ ফেব্রুয়ারি তিনি বৈঠক করে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে জনপ্রশাসন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারক মহলের কাছে ভূতপূর্ব ইকোনমিক ক্যাডারের বেশির ভাগ কর্মকর্তার দাবি, একীভূতকরণ প্রশ্নে তাদের কেউ যেন প্রাপ্য সম্মান ও সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন। ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর ইকোনমিক ক্যাডারকে প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। এর ফলে বিলুপ্ত ইকোনমিক ক্যাডারের সিডিউলভুক্ত বিভিন্ন গ্রেডের ৫৩৮টি পদ প্রশাসন ক্যাডারের সিডিউলে যুক্ত হয়। এর মধ্যে কর্মরত ৪৬২ জন কর্মকর্তাকে একীভূত করা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৭ মার্চের পরে বিভিন্ন জেলা থেকে ডিসিদের প্রত্যাহার করা হবে। এরপর নতুন করে পদোন্নতি প্রক্রিয়া শুরু হবে। তখন ইকোনমিক ক্যাডারের ২০ থেকে ২৭ ব্যাচ পর্যন্ত কর্মকর্তাদের প্রশাসন ক্যাডারের ২৭তম ব্যাচের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মূলত এই পদোন্নতির মধ্য দিয়ে একীভূতকরণের মৌলিক কাজ শুরু হবে। ইকোনমিক ক্যাডারের কর্ককর্তারা বলছেন, ইকোনমিক ক্যাডারকে প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূতকরণে তাদের প্রধান দাবি ছিল, প্রাপ্য সিনিয়রিটি প্রদানসহ প্রত্যেককে পদে অন্তর্ভুক্ত করা।
এ সংক্রান্ত সুপারিশমালাতে ব্যাচভিত্তিক পিএসসির (পাবলিক সার্ভিস কমিশন) সম্মিলিত গ্রেডেশন তালিকা অনুসরণ করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। এ হিসেবে সহকারি প্রধানদের সহকারি সচিব, সিনিয়র সহকারি প্রধানদের সিনিয়র সহকারি সচিব, উপপ্রধানদের উপসচিব, যুগ্মপ্রধানদের যুগ্মসচিব এবং প্রধানদের অতিরিক্ত সচিব পদে শামিল করতে হবে। তারপর প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে সমন্বয় করে পদোন্নতি নিশ্চিত করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।