বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস)। এটি পুরাতন সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিস অব পাকিস্তান থেকে সৃষ্টি হয়েছে, যা উপনিবেশিক শাসনামলের ব্রিটিশ স¤্রাজ্ঞী নিয়ন্ত্রিত ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসের উত্তরসূরি ছিল। স্বাধীনতার পর থেকে এটি সিভিল সার্ভিস অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস হিসাবে পরিচিতি হয়। এর মূলনীতি ও পরিচালনা পরিষদ বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন থেকে নির্ধারিত হয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর পরবর্তী সময়ে প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমানের একটি আইন দ্বারা নবজাতক দেশের সরকার ব্যবস্থার উন্নয়নে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস গঠিত হয়। ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর পিএসসির সুপারিশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ইকোনমিক ক্যাডারকে প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত করে গেজেট প্রকাশ করে। ফলে বিসিএস ক্যাডারের সংখ্যা ২৭টি থেকে কমে ২৬টি হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাপ্র/অ;নি ও নবনিয়োগ শাখার যুগ্ম সচিব শাহানাজ বেগম বলেন, আমরা পিএসসির সুপারিশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ইকোনমিক ক্যাডারকে প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত করে গেজেট প্রকাশ করেছি। অন্যগুলোর বিষয় এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বর্তমানে বিসিএসের ২৬টি ক্যাডারের মধ্যে ১৩টি সাধারণ ও ১৩টি পেশাগত/কারিগরি ক্যাডার রয়েছে। প্রশাসন, পররাষ্ট্র, পুলিশ, সমবায় বা কর ক্যাডারের মতই বিসিএস (তথ্য) একটি সাধারণ ক্যাডার। তবে অন্যান্য সাধারণ ক্যাডারের প্রকৃতির মত এটি সাধারণ নয়, প্রকৃতিগতভাবে এটি একটি আজব ক্যাডার। এই একটি সাধারণ ক্যাডারের রয়েছে তিনটি ভাগ। তিনটি ভাগে পদায়ন করা হয় সহকারী তথ্য অফিসার/সহকারী পরিচালক গণযোগাযোগ ও তথ্য অধিদফতরের, সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) বেতারে এবং সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক হিসাবে বেতারে।
এই তিনটি অংশের মধ্যে পারস্পারিক কোন সমন্বয় নেই। তিনটিই যেন আলাদা আলাদা ক্যাডার। এসব কারনে বিসিএস (তথ্য) এর মধ্যে রয়েছে পারস্পারিক অসন্তোষ। পাশাপাশি রয়েছে একটি কারিগরি অংশ বিসিএস (তথ্য) যাদেরকে সহকারী বেতার প্রকৌশলী হিসাবে বেতারে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। বলা চলে শুধু বেতারেই রয়েছে একটি সাধারণ ক্যাডারের দুটি স্বতন্ত্র অংশ এবং একটি কারিগরি অংশ অথবা এক প্রকার তিনটি স্বতন্ত্র ক্যাডার। যাদের মধ্যে ক্যাডার সম্পৃক্ত কোন বিষয়ে সমন্বয় বা মিল নেই।
সা¤প্রতিক সময়ে বিসিএস (তথ্য)-এর এই ভাগগুলোর মধ্যে পারস্পারিক রেশারেশি চরম আকার ধারণ করেছে। গণযোগাযোগ ও তথ্য অধিদফতরে অংশ তাদেরকে তথ্য সাধারণ বলে দাবী করছে, যার দরুণ বেতার অংশকে বেতার ক্যাডার নামে অভিহিত করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে বেতার ক্যাডার নামে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে কোন ক্যাডার নেই। এবং তথ্য সাধারণ বলেও কোন ক্যাডার নেই। বিসিএস (তথ্য) হচ্ছে আরো কয়েকটি সাধারণ ক্যাডারের মত একটি সাধারন ক্যাডার যেটির আরো কিছু ক্যাডারের মত একটি কারিগরি অংশও রয়েছে। বেতারের তিনটি অংশেরও মধ্যেও রয়েছে চরম অসন্তোষ কেননা পদন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রেও রয়েছে চরম অসঙ্গতি। বার্তা ও প্রকৌশল শাখায় ৩০ ব্যাচের কর্মকর্তাদের পদন্নতি হলেও অনুষ্ঠান বিভাগের ২৮তম ব্যাচেরই এখনো পদন্নতি হচ্ছেনা।
তাছাড়া সার্বিকভাবে বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারটি অন্যান্য ক্যাডারের তুলনায় একটি বঞ্চিত ক্যাডার। অন্যান্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের ন্যায় পিএসসির মাধ্যমে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে ক্যাডার সার্ভিসে যোগ দিলেও তথ্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের কারও সময়মতো পদোন্নতি হচ্ছে না। ক্যাডারের লাইনপোস্টে যেমন সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে তেমনি উপ-সচিব হিসেবে অপশন দিয়েও যথাসময়ে পদোন্নতি হয় না। বছরের পর বছর অপেক্ষায় বসে থেকে প্রশাসন ক্যাডারের জুনিয়রদের সঙ্গে তথ্য ক্যাডারের সিনিয়রদের পদোন্নতি নিতে হয়। আর ক্যাডারের লাইনপোস্টে উপরের দিকে পদের সংখ্যা খুবই কম হওয়ায় বহু সিনিয়র তথ্য অফিসার চাকরির ২০ বছরেও পদোন্নতি পাচ্ছেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।