পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের একটি মামলায় প্রশাসন ক্যাডারের কয়েকজন কর্মকর্তাকে চার্জশিটে আসামি না করায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। একটি রিভিশন পিটিশনের শুনানি শেষে গতকাল বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। তলব করা কর্মকর্তা দুদকের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ ওয়াদুদ।
সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক জানান, কিশোরগঞ্জের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সেতাফুল ইসলামের ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় জবানবন্দি অনুসারে জেলা প্রশাসক (ডিসি) আজিম উদ্দিন বিশ্বাস এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দুলাল চন্দ্র সূত্রধরের নাম চার্জশিটে আনা হয়নি। এ কারণে ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তলব করেছেন আদালত। আগামী ২৪ আগস্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ ওয়াদুদকে সশরীরে হাজির এ বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করতে বলা হয়েছে।
রিভিশন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজল। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আশরাফউদ্দিন ভুইয়া ।
প্রসঙ্গত, কিশোরগঞ্জে উন্নয়ন প্রকল্পের ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত তৎকালীন পিরোজপুর জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সেতাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি টিম। ২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে পিরোজপুর সার্কিট হাউজের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নতুন সেনানিবাস স্থাপন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের জন্য কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ আসে। সেখান থেকে ৫ কোটি টাকা সরিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সেতাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। আরও ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা জেলা প্রশাসনের হাতে ধরা পড়ে। জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে এ সংক্রান্ত হিসাবের আরও কয়েক কোটি টাকা গরমিলের জন্যও কর্তৃপক্ষ ওই কর্মকর্তাকে দায়ী করছে। পরে ওইসব অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ময়মনসিংহের সহকারি পরিচালক রাম প্রসাদ মন্ডল বাদী হয়ে এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় সেতাফুল ইসলামকে আসামি করে মামরা করেন। পরে ওইদিনই তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় দুদকের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ ওয়াদুদকে।
দুদকের একটি সূত্র জানায়, ওয়াদুদের তদন্তকালে কিশোরগঞ্জের তৎকালিন জেলা প্রশাসক (ডিসি) আজিম উদ্দিন বিশ্বাস এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দুলাল চন্দ্র সূত্রধরের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। কিন্তু তৎকালিন কমিশন প্রশাসন ক্যাডারের এ দুই কর্মকর্তাকে রক্ষায় তাদের নাম বাদ দিয়েই চার্জশিট অনুমোদন দেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।